পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর বিল্ডিং রোগীর ভিড়ে সব সময় থিক থিক করে। সেখানে করোনার ভাইরাস নিয়ে কেউ ঢুকে পড়লে একসঙ্গে অনেকের দেহে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাদের মাধ্যমে আবার বহু পুরুষ মহিলা আক্রান্ত হবেন। তাই আউটডোরের ভিড়ে সেই সব রোগীরা যাতে পৌঁছতে না পারেন তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই জন্য আউটডোরের বাইরে বিশেষ ক্যাম্প থাকবে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালের আউটডোরে এলে সেই ক্যাম্প থেকেই তাদের চিহ্নিত করা হবে।
advertisement
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সব রোগীকেই প্রথমে আউটডোরে টিকিট করিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। সেখানে ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে তবেই ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে একই নিয়ম চললে আউটডোরের লাইনে করোনা সংক্রমণের সমূহ সম্ভাবনা। সেই আশংকা থেকেই জ্বর কাশি শ্বাস কষ্ট নিয়ে রোগীরা এলে তাদের প্রথমেই চিহ্নিত করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নার্সিংহোমগুলিকে করোনা চিকিৎসার জন্য পাঁচ বেডের পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি বাধ্যতামূলক বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই জন্য নার্সিংহোমের চিকিৎসক নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আগামী সোমবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে সেই প্রশিক্ষণ হবে বলে নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।