শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেতেই সিঙ্গুরে জমি ফেরাতে তৎপর রাজ্য সরকার। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, বিদ্যুৎ সহ একাধিক দফতর। শশব্যস্ত প্রশাসনিত আধিকারিকরাও। জমির মানচিত্র প্রশাসনের হাতে থাকলেও পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে চলছে ওই এলাকার স্যাটেলাইট ম্যাপিংয়ের কাজ। ড্রোনের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার মানচিত্র হাতের মুঠোয় পুরতে চাইছে প্রশাসন।
advertisement
১০ বছর পর খুলল ফটক, সাপের আতঙ্কে ভীত মজুরেররা
কেন ড্রোনের ব্যবহার? ড্রোনের মাধ্যমে ওই এলাকার এরিয়াল ভিউ পাওয়া যাবে। ফলে ম্যাপ তৈরি সহজ হবে। সেই সঙ্গে জঙ্গল পরিষ্কারও সহজ হবে। সোমবারের মধ্যে স্যাটিলাইট ম্যাপিংয়ের কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগাছা পরিষ্কার করতে এছাড়া ১৫টি হার্ভেস্টার ও ৫০টিরও বেশি গ্র্যাস কাটার নামানো হয়েছে।
কাজে নেমেছে কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। রবিবার থেকে শুরু হবে শেড খোলার কাজ। সেজন্য ইতিমধ্যেই নিয়ে আসা হয়েছে জেসিবি। শনিবার, কাজ খতিয়ে দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মিশন সিঙ্গুর দ্রুত শেষ করতে, সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। শনিবার, দশ বছর আগে প্রকল্প এলাকায় বসানো দুটি সাবস্টেশন কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজ্যের একাধিক দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা।