রবিবার সকালে ওই এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকার গ্রামগুলিতে টানা লোডশেডিং চলছে। তার প্রতিবাদেই সকাল থেকেঅ জিগরি মোড়ে অবরোধ শুরু হয় স্থানীয়রা। অবরোধ তুলতে ফরাক্কা থানার পুলিশ এলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত বচসা দড়ায় খণ্ডযুদ্ধে। জনতার ভিড় থেকে পুলিশকে লক্ষ করে বোমা ও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মাথায় ইটের আঘাতে ছয় থেকে সাত জন পুলিশ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে চালানো হয় লাঠিও। দশ থেকে পনেরো জন অবরোধকারী আহত হয়েছেন। একজন তাপ বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীর মৃত্যু হয় ৷
advertisement
লরির মাথায় চেপে আসার সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের চালানো গুলি কোমরে লাগে জামাল শেখের ৷ পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
ঘটনার জেরে ব্যস্ত জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। । ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডে। ফরাক্কার ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
টানা কয়েকদিন ধরে তিন কিলোমিটার দূরত্বে ফিডার লাইনের কাজ চলছিল। তার জেরে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ যে বিচ্ছিন্ন থাকবে তা মাইকে প্রচার করাও হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত বণ্টন বিভাগ । কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে নয় টানা কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং চলছে। যার জেরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ তুলতে এলে জনতা পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ফারাক্কার জিগড়ি মোড়। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কিছু থাকতে পারে বলে আশঙ্কা মন্ত্রীর ৷
দীর্ঘদিন ধরেই মুর্শিদাবাদে হুকিংয়ের অভিযোগ। অতীতে যতবারই পুলিশ হুকিংয়ের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে, ততবারই এরকম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এমকি দুষ্কৃীরা ট্রান্সফরমার বসিয়ে এলাকায় সমান্তরাল বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বলেও অভিযোগ। এবারেও এই সংঘর্ষের পিছনে সমাজবিরোধীদের ভূমিকা থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণেই তদন্তের রিপোর্ট চয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদে থাকা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চেয়ারম্যান নিজে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে জঙ্গিপুর মহকুমায় আগামীকাল ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম ৷