মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। ইতিমধ্যেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অগ্নিকাণ্ডের পরই গোটা বিষযটি নিয়ে ফোনে খবরাখবর নিতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য, পুলিশ ও দকমল বিভাগ থেকেও রিপোর্ট তলব করেন তিনি। প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি কলকাতা থেকে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল বলে দাবি করেছেন মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সুরিতা পাল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানিয়েছেন, পদপিষ্ট হয়ে দু’জন মারা গেলেও কোনও শিশুই জখম হননি। আহতদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
কলকাতা থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখেন তিনি।স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে-র সঙ্গে ফোনে কথা হয়। দমকলমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম গিয়েছে।মলয় দে মুখ্যমন্ত্রীর নিদেশ পেয়েই স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন, য়থোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠিত হবে।তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটল,এর পিছনে কারও গাফিলতি ছিল কিনা।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উপযুক্ত ছিল কি না,এসি- থেকে আগুন সেখানে কোনও ত্রুটি ছিল কিনা,হাসপাতালের পরিকাঠামোয় সমস্যা, পিডব্লুডি-যে তৈরি করে ছিল তাতে কোনও ত্রুটি ছিল কিনা।তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে সরকারকে।
রিপোর্টের পর যদি কিছু গাফিলতি ধরা পড়ে, দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।
আহতদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা ও সব খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য়ের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।