দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জীবনতলায় ক্যাটারিং-য়ের কাজ করতেন সৌমিত্র নাইয়া। স্থায়ী কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে সোনারপুরে ডেকে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার আপ ক্যানিং লোকাল ধরে সোনারপুর স্টেশনে নামেন সৌমিত্র।
স্টেশনের বাইরে বাইকে করে অপেক্ষায় ছিল দুজন। সৌমিত্রকে বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রাজপুর রথতলার শালিমার মোড়ে। সেখানে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে সৌমিত্রকে পর-পর দুবার গুলি করে চম্পট দেয়।
advertisement
রক্তাক্ত সৌমিত্রকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। শনিবার সকালে নিহতের শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে শ্বশুর প্রবীর মণ্ডলকে মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে তুলে দেওয়া হয় জীবনতলা পুলিশের হাতে। স্থানীয়দের দাবি, মারের চোটে জামাইকে খুনের কথা স্বীকার করেন প্রবীর।
নিহতের পরিবার অভিযোগ-----
---দুই সুপারি কিলারকে জামাই খুনের বরাত দিয়েছিলেন প্রবীর মণ্ডল
---দেড় বছর আগে শ্বশুরবাড়ির অমতে স্বপ্নাকে বিয়ে করেন সৌমিত্র
---শ্বাশুড়ির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন সৌমিত্র
--- শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ার রহস্যমৃত্যুর বিষয়েও জানতেন সৌমিত্র
-- এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় খুন হতে হয় তাঁকে
শ্বশুরের সঙ্গেই আটক দিলীপ নামে স্থানীয় এক ক্যাটারার সংস্থার কর্ণধার।