শেখ ইসলাম নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে আসে এই জালিয়াতি চক্র ৷ পেশায় ছোটখাটো ব্যবসায়ী শেখ ইসলামের কাছে কাজের টোপ দিয়ে ফোন আসে ৷ ফোনে বলা হয়, ‘আপনি কি কাজ চান? আমরা বিদেশে কাজে পাঠাই আপনি ও আপনার ভাই যদি যেতে চান আমরা ব্যবস্থা করে দিতে পারি৷’
দিনের পর দিন এই ফোন আসতে থাকে ৷ ২০১৬ এর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইসলাম তার ভাই ও পাড়ার আরও কিছু গরিব বাড়ির ছেলেরা বিদেশের কাজের আশায় ফোনের টোপে সাড়া দেয় ৷ দঃ২৪পরগনার বিষ্ণুপুরের মেহেরম মার্কেটের মনি ট্র্যাভেল নামে এক এজেন্টের কাছে অফিসে বসে বিদেশ যাত্রা নিয়ে কথা হয়৷ সেই দিনই তাদের সবার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয় ৷
advertisement
কথা মতো ৪০ দিনের মাথায় তাদের ভিসা হয়ে গিয়েছে বলে সকলের কাছে ফোনও যায় ৷ ওই ফোনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাকা জমা দিতে বলা হয় ৷ নির্দেশ মতো ইসলাম মনি ট্র্যাভেলের মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০.০০০ টাকা পাঠায়,তার কয়দিন পর প্লেনের টিকিট কাটার নাম করে আবার টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ একবার দেড় লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার পর আবার কয়েকদিন পর নতুন বাহানায় টাকা চেয়ে ফোন আসে ৷
ইসলাম ও তাঁর বেকার ভাইদের পক্ষে টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয় বলে টাকা দিতে অপারগ বলে জানিয়ে দেওয়া হয় ৷ এই কথা শুনে সংস্থাটি জানায়, তাহলে এত দিন যা টাকা দিয়েছেন সে টাকা আর ফিরত পাবেননা ৷
একদিকে কাজ হারানো ও অপর দিকে এত গুলো টাকা নষ্টের কথা ভেবে ধার দেনা করে আরও একবার দেড় লক্ষ টাকা দেবার পর ভিসা হাতে পায় ৬ জন ৷ সেই ভিসা পরীক্ষা করা হলে জানা যায় সেগুলি নকল।
এর পর থেকে আজ পর্যন্ত তাগাদা দিয়েও কোনও টাকা ফেরত পায়নি, হুগলীর জেলার রিষরা থানার ১৩ নম্বর পি যে মিল লাইয়েনের বাসিন্দা এই সব যুবকরা। বার বার সময় নিয়ে তাদের আসতে বলে সংস্থাটি ৷ নির্দিষ্ট সময় এলে আবারও নতুন একটা তারিখ ধার্য করত তারা ৷ অবশেষে প্রতারিত যুবকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে তাদের ধর্ষণের কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ সংস্থাটির বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে প্রতারিত ৬ যুবক।