বুধবার হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে ৩০০ একর জমি পরিষ্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ ৷ ১৫০ একর জমি প্লটিংয়ের কাজও সমাপ্ত ৷ জমি চিহ্নিতকরণের জন্য আল কাটা হয়েছে ৷ জমির তথ্য পুনরুত্থানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ই-ভূচিত্র সফটওয়্যার ৷ এর জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ সেল ৷ ২০০৬-এর ম্যাপ দেখে চলছে কাজ ৷ বুধবার থেকে আবার বিডিও অফিসে অনিচ্ছুক কৃষকদের জন্য ক্যাম্প চালু হল ৷
advertisement
শীর্ষ আদালত জমি ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দিয়েছে। শুরু হয়েছে জমি জরিপের কাজ। কিন্তু কৃষি না শিল্প। কী হবে ভবিষ্যতের সিঙ্গুরে? কৃষকদের থেকে মতামত চাইতে পারে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ১৪ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক সভাতেই কৃষকদের থেকে সরাসরি মতামত জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরইমধ্যে নতুন করে অশান্তির মেঘ জমছে সিঙ্গুরে।
মঙ্গলবারই, বিধায়ক তথা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচর্যের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন অনিচ্ছুক কৃষক গোপাল দাস। ২০০৬ সালে সিঙ্গুর ইস্যুতে গোপাল দাসই প্রথম মামলা করেছিলেন।
মঙ্গলবার, সিঙ্গুরের কাজ পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানানোই উদ্দেশ্য ছিল গোপালের। কিন্তু, শেষপর্য়ন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। যদিও, এমন পরিস্থিতি দ্রুত কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সিঙ্গুর নিয়ে তৃণমূল বিরাট জয় পেতেই সিঙ্গুরের কৃষি জমিরক্ষা কমিটির নেতাদের মধ্যে নিজের কোলে ঝোল টানার প্রতিযোগিতা চলছে। বিডিও-র দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছেড়ে বেড়াবেড়িতে ক্যাম্প নির্মাণে তারই ছায়া দেখছেন কৃষকরা। সিঙ্গুরের মাটিতে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার দ্বন্দ্বের চোরাস্রোতও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।