TRENDING:

জমির নথি জমা নিয়ে নয়া জট সিঙ্গুরে

Last Updated:

সিঙ্গুরের জমিতে কৃষি না শিল্প? তা নিয়ে সিঙ্গুরের কৃষকদের মত নিতে পারে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ১৪ তারিখের প্রশাসনিক সভাতেই এই মত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হুগলি: সিঙ্গুরের জমিতে কৃষি না শিল্প? তা নিয়ে সিঙ্গুরের কৃষকদের মত নিতে পারে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ১৪ তারিখের প্রশাসনিক সভাতেই এই মত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরইমধ্যে জমির নথি জমা দেওয়া নিয়ে নতুন করে জট তৈরি হয়েছে সিঙ্গুরে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেই বেড়াবেড়িতে ক্যাম্প খুলেছেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অভিযোগ সিঙ্গুরের প্রথম মামলাকারী গোপাল দাসের। যদিও, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, দ্রুত এই জট কাটবে।
advertisement

বুধবার হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে ৩০০ একর জমি পরিষ্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ ৷ ১৫০ একর জমি প্লটিংয়ের কাজও সমাপ্ত ৷ জমি চিহ্নিতকরণের জন্য আল কাটা হয়েছে ৷ জমির তথ্য পুনরুত্থানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ই-ভূচিত্র সফটওয়্যার ৷ এর জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ সেল ৷ ২০০৬-এর ম্যাপ দেখে চলছে কাজ ৷ বুধবার থেকে আবার বিডিও অফিসে অনিচ্ছুক কৃষকদের জন্য ক্যাম্প চালু হল ৷

advertisement

শীর্ষ আদালত জমি ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণেরও নির্দেশ দিয়েছে। শুরু হয়েছে জমি জরিপের কাজ। কিন্তু কৃষি না শিল্প। কী হবে ভবিষ্যতের সিঙ্গুরে? কৃষকদের থেকে মতামত চাইতে পারে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ১৪ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক সভাতেই কৃষকদের থেকে সরাসরি মতামত জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরইমধ্যে নতুন করে অশান্তির মেঘ জমছে সিঙ্গুরে।

advertisement

মঙ্গলবারই, বিধায়ক তথা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচর্যের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন অনিচ্ছুক কৃষক গোপাল দাস। ২০০৬ সালে সিঙ্গুর ইস্যুতে গোপাল দাসই প্রথম মামলা করেছিলেন।

মঙ্গলবার, সিঙ্গুরের কাজ পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানানোই উদ্দেশ্য ছিল গোপালের। কিন্তু, শেষপর্য়ন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। যদিও, এমন পরিস্থিতি দ্রুত কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সিঙ্গুর নিয়ে তৃণমূল বিরাট জয় পেতেই সিঙ্গুরের কৃষি জমিরক্ষা কমিটির নেতাদের মধ্যে নিজের কোলে ঝোল টানার প্রতিযোগিতা চলছে। বিডিও-র দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছেড়ে বেড়াবেড়িতে ক্যাম্প নির্মাণে তারই ছায়া দেখছেন কৃষকরা। সিঙ্গুরের মাটিতে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার দ্বন্দ্বের চোরাস্রোতও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
জমির নথি জমা নিয়ে নয়া জট সিঙ্গুরে