TRENDING:

South Bengal News: স্বাধীনতার পরেও ৭৫ বছর কেটেছে অন্ধকারে! অবশেষে পালিত হল আলো পাওয়ার বর্ষপূর্তি

Last Updated:

হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড হলেও এ যেন কোনও গ্রামেরই চিত্র। সন্ধ্যা ঘনালেই আঁধার নামত। অবশেষে রাতের অন্ধকার ঘুঁচল বৈদ্যুতিক আলোয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণবঙ্গ: স্বাধীনতার পরে কেটে গিয়েছিল ৭৫টি বছর। ততদিন গ্রামে ছিল না বিদ্যুতের কোনও সংযোগ। রাতের অন্ধকারে আলোর একমাত্র অবলম্বন ছিল কেরোসিনের লম্ফ এবং হারিকেন। কিন্তু অবশেষে সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে। হলদিয়া ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচক গ্রামে খুশির হাওয়া। এক বছর আগে এই গ্রামে এসেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। গ্রামে আলো আসার এক বছর পূর্তি যাপন করলেন তাঁরা৷
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী
advertisement

এক বছর হয়ে গেল বাড়িতে এসেছে বিদ্যুতের সংযোগ। দুটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস। এতদিন বেশ কিছু বাড়িতে সোলারের মাধ্যমে আলো জ্বলে উঠলেও, বেশিরভাগ বাড়ি রাতের অন্ধকারে ডুবে যেত।

হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড হলেও এ যেন কোনও গ্রামেরই চিত্র। সন্ধ্যা ঘনালেই আঁধার নামত। অবশেষে রাতের অন্ধকার ঘুঁচল বৈদ্যুতিক আলোয়।

advertisement

২০২৩ সালের শুরুর দিন থেকেই বিষ্ণুরামচক ও সাঁওতালক গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যায় বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ। রাতের বেলায় জ্বলে ওঠে বিদ্যুতের আলো। আর তাতেই খুশির হাওয়া এলাকায়। স্থানীয় গৃহবধূ পাপিয়া ধাড়া, এলাকার কলেজ পড়ুয়া মোর্তাজা গোলাম আলি সহ খুশি বয়স্ক থেকে কচিকাঁচা সবাই।

২০২৩ সালের আগে পর্যন্ত যাঁদের সামান্য মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী বাজারে যেতে হত। এমনকী, টাকার বিনিময়ে দোকানে মোবাইলের চার্জ করতে হত। এবার আর তেমন হচ্ছে না। বাড়িতেই মোবাইল চার্জ করাতে পারছি যখন তখন। বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় শুধু মোবাইল চার্জার নেই বেশিরভাগ বাড়িতেই। নেই বিনোদনের মাধ্যম অর্থাৎ টিভি। সেই অবস্থার আমুল বদল হচ্ছে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিদেশের ধাঁচে নদিয়ায় প্রথম পরিবেশবান্ধব রাস্তা! শান্তিপুরে শুরু হয়ে গেল কাজ
আরও দেখুন

গৃহবধূরা জানান, সংসারের কাজকর্ম করতে রাতের অন্ধকারে অসুবিধা হত। দিনের আলোয় থাকতে থাকতে সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হত। শুধু তাই নয় ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এতদিন অসুবিধা মুখোমুখি হতে হয়েছে। বেশিরভাগ ঘরেই রাতের বেলায় পড়াশোনার একমাত্র মাধ্যম ছিল মোমবাতি কিংবা হারিকেন।বেশ কিছু ঘরে সোলারের মাধ্যমে আলো জ্বালা হলেও তার উজ্জ্বলতা অনেক কম ছিল। পড়াশোনা করতে অসুবিধা হত। কিন্তু এবার আর সে অসুবিধা নেই। নতুন বছরের প্রথম দিনেই গ্রামে বিদ্যুৎ আসায় খুশির হাওয়া গ্রামবাসীদের মধ্যে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
South Bengal News: স্বাধীনতার পরেও ৭৫ বছর কেটেছে অন্ধকারে! অবশেষে পালিত হল আলো পাওয়ার বর্ষপূর্তি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল