সোমবারই কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদেরকে সঙ্গে নিয়ে জামতলায় মানসিক ভারসাম্যহীন শিকল দিয়ে বাঁধা যুবক কৃষ্ণেন্দু দোলুইয়ের বাড়িতে যান। কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি টানা এক বছর পর শিকলের বাঁধন থেকে মুক্ত করা হয় কৃষ্ণেন্দু দোলুইকে। এবার সরকারি সাহায্যেই ওই যুবকের চিকিৎসা চলবে আশ্বস্ত করেন বিধায়ক।
advertisement
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর রাতে ঘুমের মধ্যে চিৎকার, কুলপির যুবকের জীবন কীভাবে বদলে গেল?
দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপি ব্লকের বড় জামতলার বছর ২৬ এর যুবক কৃষ্ণেন্দু দোলুই। ৬ বছর আগে হঠাৎই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন কৃষ্ণেন্দু। তার পর থেকে দিনমজুর পরিবার তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমি দোকান বেচে সর্বস্বান্ত হয়েছিল৷ ফলে বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা। তাই শিকলাবাঁধা অবস্থায় এক বছর ধরে দিন কাটছিল কৃষ্ণেন্দু দোলুইয়ের।সোমবারই কৃষ্ণেন্দু এবং তাঁর পরিবারের অসহায়তার কথা তুলে ধরেছিল নিউজ ১৮ বাংলা৷
আরও পড়ুন: রোগীর বেডের পাশে লাইটার কী করে? বর্ধমান মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাপানউতোর জারি
প্রশাসনিক তৎপরতার পরই ওই যুবককে স্থানীয় জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে কৃষ্ণেন্দুকে ভর্তি করা হয়েছ।
অন্য দিকে কুলপির বিডিও বলেন, কৃষ্ণেন্দু দোলুইয়ের চিকিৎসার জন্য বিধায়ক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যাতে কৃষ্ণেন্দু দোলুই সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে তার জন্য তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
প্রশাসনের এমন উদ্যোগে অনেকটা স্বস্তিতে কৃষ্ণেন্দুর পরিবার। কৃষ্ণেন্দুর মা রুমা দোলুই ও বাবা দীনেশ দোলুইয়ের এখন একটাই প্রার্থনা, দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে বাড়ি ফিরুক কৃষ্ণেন্দু।
Anisuddin Mollah