এরপর ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ২৬ জন মৎস্যজীবী-সহ ওই ট্রলারটিকে আটক করে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার ভারতীয় জলসীমানার লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২৯ জন মৎস্যজীবী-সহ একটি বাংলাদেশি ট্রলার আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী।
গতকালের পর সোমবার আবারও ভারতীয় জলসীমানা লংঘন করার অভিযোগে বাংলাদেশী একটি ট্রলার ২৬ জন মৎস্যজীবী-সহ আটক হয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হাতে। গতকাল ২৯ জন মৎস্যজীবীকে সোমবার দুপুরে কাকদ্বীপ মহাকুমার আদালতে পেশ করে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পক্ষ থেকে। দু’দিনে বাংলাদেশের প্রায় ৫৫ জন মৎস্যজীবী-সহ দুটি ট্রলার আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী।
advertisement
এ বিষয়ে সুন্দরবন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, গতকাল ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী আমিনা নামে একটি বাংলাদেশের ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলারে থাকা ২৯ জন মৎস্যজীবীকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। এদিন সকালে মায়ের দয়া নামের একটি বাংলাদেশী ট্রলার আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। এফবি মায়ের দোয়ায় ছিল ২৬ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। ২৬ জন মৎস্যজীবীকে আটক করার পর ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের কে তুলে দেয়। ২৬ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে মঙ্গলবার কাকদ্বীপ মহাকুমার আদালতে পেশ করবে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। গত দুদিনে প্রায় ৫৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী গ্রেফতার হয়েছে।
কী কারনে ভারতীয় জলসীমা না বারবার লঙ্ঘন করছে বাংলাদেশি ট্রলার সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল ছিল তখন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের জেলাশাসক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদেরকে পুনরায় দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হত।
অন্যদিকে ভারতের যে সকল মৎস্যজীবী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে আটক হত তাদেরকেও বাংলাদেশ ভারতে ফিরিয়ে দিত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে ভারতের বহু মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জেলবন্দি হয়ে আছে।
