এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ কাঁথি থানায় এসে হাজির হন সৌমেন্দু অধিকারী, সাড়ে ৭ টা নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে সৌমেন্দু অধিকারীর বলেন " সকাল সাড়ে ১০ টার সময় আসতে বলেছিল, আমি সময় চেয়েছিলাম। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সহযোগিতা করতে এসেছি। তদন্তে আমরা সহযোগিতা করছি। যারা তদন্ত করছে তারাই সব কিছু বলতে পারবেন। মূলত পথবাতি মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা "।
advertisement
সৌমেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, '' পথবাতি দুর্নীতির মামলায় সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য পুলিশ ফের ডেকে পাঠিয়েছে। আমার মক্কেল নির্দোষ। তবু বারে বারে নানা কারণে ওঁকে হয়রানি করা হচ্ছে "। একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপির অন্দরেও ৷ তাঁদের অভিযোগ, সরাসরি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কিছু করতে না পেরে তাঁর পরিবারকে টার্গেট করেছে রাজ্য ৷ তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিথ্যে কেসে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে৷
তৃণমূলে থাকাকালীন প্রায় প্রায় ১০ বছর কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পুরসভার মেয়াদ ফুরনোর পরও প্রশাসকের দায়িত্ব সামলেছেন সৌমেন্দু। কাঁথি পুরসভার দায়িত্বে থাকাকালীন পুরসভার পথবাতি বসানো থেকে শুরু করে, রাঙামাটি শ্মশানের জমি বিক্রি করে স্টল বিলি, সারদার ফাইল উধাও, কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে টেন্ডারে কারচুপি, পুরসভার ত্রিপল চুরি-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে বেনামে সৌমেন্দুর বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ-ও মিলেছে।