শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ভগবানগোলায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে ভগবানগোলা থানার বীরেন্দ্রকলোনি এলাকায়।
মৃতের নাম রমেশ রাম মন্ডল (৩২)। রাতে ছাদ থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
আরও পড়ুন- রাজা-রানির মূর্তি ঢেকে দিল কার্জন গেটের প্রাচীন নকশা! বর্ধমানে বিতর্ক
advertisement
পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভগবানগোলা থানার পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারজুড়ে।
চার বছর আগে বহরমপুরের তারকপুরের বাসিন্দা রমেশ রাম মন্ডলের বিয়ে হয় ভগবানগোলা থানার বীরেন্দ্রকলোনি এলাকায়। তাঁদের একটি দেড় বছর ও একটি ১৩দিনের সন্তান রয়েছে।
শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রমেশ। সন্তানদের জন্য নতুন জামা নিয়ে আসেন। শ্বশুরবাড়ির সবার সঙ্গে ভাল করে কথাও বলেন। এর পর রাতে ছাদ থেকে উদ্ধার হয় রমেশের ঝুলন্ত দেহ।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারজুড়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানায় হাত ভেঙে যাওয়ায় কাজ না থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাই বাড়ি থেকে অশান্তি করে চলে আসেন রমেশ। এরপরেই এই ঘটনা।
মৃতের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় জিতেন মন্ডল বলেন, রমেশ বাড়ি থেকে অশান্তি করে চলে এসেছিল। সেই কারনেই ও আত্মহত্যা করেছে বলেই আমাদের অনুমান। পুলিশ তদন্ত করলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।
তের শ্বাশুড়ি সুলেখা মন্ডল বলেন, জামাই এসে সবার সঙ্গে ভাল করে গল্পও করে। আমি পরে কাজে চলে আসি। তারপরে জামাইয়ের দিদি ফোন করে বলে রমেশ বাড়িতে অশান্তি করে চলে এসেছে। এর পরে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি রমেশকে।
আরও পড়ুন- Bardhaman: প্রেমিকের সঙ্গে গলায় দড়ি দিল গৃহবধূ! দু'জনেই নাবালক! মৃত্যুতে চাঞ্চল্য
+তারপর ছাদে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তবে বেশ কিছুদিন আগে হাত ভেঙে যাওয়ায় কোনো কাজ ছিল না তাঁর। সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।