সোমবার সকালে পূর্বস্থলী থানার নিমদহ পঞ্চায়েতের পলাশবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বসু শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। সুভাষবাবুকে করোনার সন্দেহ করে আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি করেন চিকিৎসক। পেশায় মুদি দোকানদার সুভাষচন্দ্র বসু হাঁপের টানে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সুভাষবাবুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়। শ্বাসকষ্ট সমস্যা শুনে অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালকই রোগী নিতে প্রথমে অস্বীকার করেন৷ তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন মৃতের ছেলে।
advertisement
আরও পড়ুন লকডাউনের মাঝে বিপত্তি! ডানহাত ভেঙেছিল ১৪ মাসের শিশুর, ডাক্তার প্লাস্টার করলেন বাঁ হাত!
অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার আগেই সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়। হাপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডের সামনেই রাস্তার উপর বাবার দেহ আগলে ছেলে সুজয় বসু বসে ছিলেন। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কাটোয়ার এক বাসিন্দা সুজয়ের আত্মীয় ফুলমণি ঘোষ মৃতের ব্যাগ পাহারা দিচ্ছিলেন। সুজয় বারবার বলতে থাকেন যে করোনা ভয়ের কারণেই বাবার চিকিৎসায় ঢিলেমি হল, এবং তাতেই মৃত্যু হল। তবে পিতৃশোককে সঙ্গে করে কোন বিবাদ বাড়াতে চাইছেন না পঞ্চায়েত কর্মী সুজয় বসু। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল সুপার গাড়ির ব্যবস্থা করেন। কাটোয়া থানার আই সি র তৎপরতায় সুভাষ চন্দ বসুর দেহ বাড়ি দিকে রওনা দেয়।