TRENDING:

করোনার আতঙ্ক, হাসপাতালে মৃত বাবার দেহ আগলে ছেলে, মিলল না অ্যাম্বুলেন্স

Last Updated:

অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার আগেই সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়। হাপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডের সামনেই রাস্তার উপর বাবার দেহ আগলে ছেলে সুজয় বসু বসে ছিলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: করোনা আতঙ্কের জেরে বাবার মৃতদেহ আগলে রাস্তায় বসে থাকলেন ছেলে। ঘণ্টা দেড়েক মৃত বাবার মাথা কোলে করে গাড়ি খুঁজছিল ছেলে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এই অমানবিক ঘটনায় অনেকেই হতবাক। নিউজ ১৮ বাংলার কাছে খবর পেয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুলিশের সাহায্যে মৃতদেহ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল ঘটনার কথা কার্যত স্বীকার করে বলেন, সংবাদমাধ্যমের থেকে খবরটা পাই৷ শববাহী গাড়ি দিয়ে অবশেষে মৃতদেহ বাড়ি পাঠাতে পেরেছি। যে অ্যাম্বুলেন্স চালক বা কর্মীরা প্রথমে মৃতদেহের কাছে যায়নি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
advertisement

সোমবার সকালে পূর্বস্থলী থানার নিমদহ পঞ্চায়েতের পলাশবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বসু শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। সুভাষবাবুকে করোনার সন্দেহ করে আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি করেন চিকিৎসক। পেশায় মুদি দোকানদার সুভাষচন্দ্র বসু হাঁপের টানে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সুভাষবাবুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়। শ্বাসকষ্ট সমস্যা শুনে অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালকই রোগী নিতে প্রথমে অস্বীকার করেন৷ তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন মৃতের ছেলে।

advertisement

আরও পড়ুন লকডাউনের মাঝে বিপত্তি! ডানহাত ভেঙেছিল ১৪ মাসের শিশুর, ডাক্তার প্লাস্টার করলেন বাঁ হাত!

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার আগেই সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়। হাপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডের সামনেই রাস্তার উপর বাবার দেহ আগলে ছেলে সুজয় বসু বসে ছিলেন। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কাটোয়ার এক বাসিন্দা সুজয়ের আত্মীয় ফুলমণি ঘোষ মৃতের ব্যাগ পাহারা দিচ্ছিলেন। সুজয় বারবার বলতে থাকেন যে করোনা ভয়ের কারণেই বাবার চিকিৎসায় ঢিলেমি হল, এবং তাতেই মৃত্যু হল। তবে পিতৃশোককে সঙ্গে করে কোন বিবাদ বাড়াতে চাইছেন না পঞ্চায়েত কর্মী সুজয় বসু। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল সুপার গাড়ির ব্যবস্থা করেন। কাটোয়া থানার আই সি র তৎপরতায় সুভাষ চন্দ বসুর দেহ বাড়ি দিকে রওনা দেয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
করোনার আতঙ্ক, হাসপাতালে মৃত বাবার দেহ আগলে ছেলে, মিলল না অ্যাম্বুলেন্স
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল