বর্ধমান হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের ডাইরেক্টর অসীম কুমার সামন্ত জানান, বিল্ডিংটি প্রায় ২০০ বছরেরও বেশী পুরনো। বর্ধমান রাজাদের সময়ের। বাঁকা নদী সংলগ্ন ওই অংশটিকে অনেকদিন আগেই পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।আজ তারই একাংশ ভেঙে পড়েছে, যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শহর বর্ধমানের ঐতিহাসিক ক্ষেত্র মহন্তস্থল ৷ মহন্তস্থল হল নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের আশ্রম বা মঠ। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাচীনতম হল নিম্বার্ক সম্প্রদায়৷ দুই বর্ধমান জেলায় দুটি মহন্তস্থলের অস্তিত্ব আছে। বর্ধমানের মহন্তস্থল ১৯৮০ -র দশকে বন্ধ হয়ে যায়৷
advertisement
জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে পাঞ্জাব প্রদেশের খাড়া নামক স্থান থেকে শ্রীনরহরি দেব বর্ধমানে আসেন। তিনি রাজগঞ্জের কাছে বাঁকা নদীর তীরে অবস্থান করেন৷ তিনি সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁর আরাধ্য দেবতা দামোদর জিউ শিলা৷ আরাধ্য দেবতাকে ওই স্থানে প্রতিষ্ঠা করে বর্ধমান মহন্তস্থলের ভিত্তি স্থাপন করেন তিনি৷
কথিত আছে,বর্ধমানের মহারাজা কীর্ত্তি চাঁদ মাহাতাব বিষ্ণুপুর পুরাধিপতির সহিত সংগ্রামে যান। তখন কাঞ্চন নগর এলাকায় বারো দুয়ারীর আম্রকাননে একজন সন্ন্যাসী ওই বিগ্রহটি নিয়ে অবস্থান করছিলেন৷ ভক্তি সহকারে রঘুনাথজীউ ও সন্ন্যাসীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন রাজা। সন্ন্যাসী তাঁকে বলেন , “আপনি যে সংগ্রামে গমন করিতেছেন,তাহাতে নিশ্চয়ই জয়লাভ করিবেন৷ কীর্ত্তি চাঁদ মাহাতাব বলেন , প্রভু, যদি আমি এই যুদ্ধে জয়লাভ করি, তাহা হইলে এখানে ফিরেই আমি আপনার রঘুনাথজীউ ও সাধু সন্ন্যাসীদের সেবার্থে যথোপযুক্ত সম্পত্তি দেব৷ তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করেন এবং বর্ধমানে ফিরে রাজগঞ্জে দেবতার জন্য একটি উৎকৃষ্ট মন্দির তৈরি করে দেন এবং দেবতা ও অতিথিদিগের সেবার্থে কয়েকটি নিষ্কর মহল ও দেবোত্তর ভূমি প্রদান করেন৷ সেই মন্দিরই মহন্তস্থল।”