পূর্ব বর্ধমানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি বা প্রশাসনের আধিকারিকদের ঘরে ঘরে এসি। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কোনও ঘরেই এসি নেই। কারণ, পাহাড় প্রমাণ বিদ্যুৎ বিল। তারপর আর এসি বসানোর সাহস দেখাতে পারেননি জেলা পরিষদের কেউই। বসন্ত শেষে গরম আসতে চলেছে। এখন অবশ্য আধিকারিকদের ঘরে ঘরে এসি বসাতে কোনও বাধাই রইল না। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় সৌরশক্তির প্যানেল বসিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ তৈরি করে নিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ এখন সোলার প্যানেলময়।
advertisement
সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন
-------------------------------
- প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা
- ৩ বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকা জমা দেয় জেলা পরিষদ
- বাকি ২০ লক্ষ টাকা দেয় রাজ্য সরকার
- প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুৎ পর্ষদ থেকে ৪০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে হত
- এখন সোলার প্যানেলে প্রতিদিন ৩৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে
- অর্থাৎ গড়ে পাঁচ ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে
- মেঘলা দিনে কম উৎপাদন হলে ঘাটতি বিদ্যুৎ মিলবে পর্ষদ থেকে
শনি রবিবার-সহ যে কোনও ছুটির দিনে জেলা পরিষদে কোনও বিদ্যুতেরই প্রয়োজন হয় না। তখন উৎপাদিত বিদ্যুতের সবই চলে যাচ্ছে পাওয়ার গ্রিডে। নেটমিটারের মাধ্যমে জানা যাবে কতটা বিদ্যুৎ নেওয়া হয়েছে বা কতটা বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুতের মাশুল একেবারেই কমে যাবে।
আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদকে তিন মাস অন্তর গড়ে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল মেটাতে হত। এখন সেই খরচ অনেকটাই কমেছে। প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ বিক্রি করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ।
- চাহিদা মিটিয়ে বিদ্যুৎ বিক্রি
- জেলা পরিষদের ছাদে সোলার প্যানেল
- উৎপাদিত সৌরশক্তিতে বিদ্যুতের চাহিদা মিটছে
- বাড়তি বিদ্যুৎ যাচ্ছে পাওয়ার গ্রিডে
- বিদ্যুতের বিল আসছে অনেক কম
