জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কেএফডব্লিউ ৬০০কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রাজ্যকে। দীর্ঘমেয়াদী ১৫বছরের এই ঋণ। প্রথম তিন বছর কোনও সুদ চোকাতে হবে না রাজ্যকে। পরের ১২ বছরে ঋণ শোধ করতে হবে। পূর্ব ভারতে ১২৫ মেগাওয়াটের এমন বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প এই প্রথম। ১১-১২ ডিসেম্বর দীঘায় বাণিজ্য সম্মেলন করে রাজ্য সরকার। সেখানে জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি বিনিয়োগ প্রস্তাব দেয় রাজ্যকে। সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ দফতর, অর্থ দফতরের পর আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিল।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই অপ্রচলিত শক্তি প্রকল্প। নোনা জমি হওয়ায় ফসল উৎপাদন মার খাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা চরমে উঠলে সেই সময় এই সৌর বিদ্যুৎ কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে ।
advertisement
দীঘার খুব কাছাকাছি সমুদ্র থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই নোনা জমি পড়েই ছিল এতদিন । ওই এলাকায় ১০০০ একর জমি কোস্টাল রেগুলেটরি জোনের ছাড়পত্র নেওয়া। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বৃহস্পতিবার নবান্নে বলেন, '৬০০কোটি টাকা হবে জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ঋণ আর ঋণের ইক্যুইটি বাবদ রাজ্য দেবে ১৫০কোটি টাকা। তৈরি সৌর বিদ্যুৎ প্রথমে পাওয়ার গ্রিড-এ যাবে সেখান থেকে স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওর অনুযায়ী তা বন্টন করা হবে।' ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড তত্ত্বাবধায়ক এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের। সম্পূর্ণ প্রকল্পের কাজ কারা করবে? তা স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থির করা হবে বলে এদিন জানিয়েছেন অমিত মিত্র। সব মিলিয়ে সাড়ে ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে পূর্ব মেদিনীপুরে গড়ে উঠবে এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। দুনিয়াজুড়ে এখন অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার নিয়ে চর্চা। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, আবহাওয়ার পরিবর্তন ঠেকাতে এই অপ্রচলিত শক্তিকেই ভবিষ্যৎ বলছেন বিশেষজ্ঞরাও।
ARNAB HAZRA