সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই বলছেন, ওঝার কাছে না নিয়ে গিয়ে সময় থাকতে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে হয়তো প্রাণে বাঁচতেন ওই যুবক।
সাপের কামড়ে জখম যুবককে হাসপাতালের বদলে নিয়ে যাওয়া হল ওঝার কাছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরী ভ্লগার জ্যোতি আলি হাসানকে লিখেছিলেন ‘পাকিস্তানে বিয়ে করব’! এই আলি কে জানেন? চাঞ্চল্যকর তথ্য
advertisement
চিকিৎসায় দেরি হওয়ায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। মৃতের নাম সময় মুর্মু। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের সোমাইপুর গ্রামে। সে ও তাঁর স্ত্রী বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সময়ের ভাইপো। মধ্যরাতে ঘুমন্ত সময়কে ছোবল মারে বিষধর।
সাপে কামড়ের পর হাসপাতালে নয়, পরিবার পরিজন প্রথমে নিয়ে যায় ওঝার কাছে। শুরু হয় ওঝার ঝাড়ফুঁক। ঘণ্টা খানেকের তুকতাক শেষে যখন সাপে কাটা সময় মুর্ম (৩৩) ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে শুরু করে তখন ওঝা হাত তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: কলকাতা শহরে কি গোপনে কিছু ঘটছে? এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভারের কাছে যা মিলল, শিউরে উঠল পুলিশও
তখন তিনি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সময় মুর্মুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের দাদা সুকন মুর্মু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত একটার সময় ভাইকে ঘরের মধ্যে সাপে কামড়ায়। সময়ের বাঁ হাতে সাপে দংশন করে। তারপর ভাইয়ের কথামত গাড়ি করে তারা মঙ্গলকোট থানার গণপুর গ্রামে ওঝার কাছে যান। সেখানে ওঝা বিভিন্ন গাছের শিকড় বেঁটে সময়কে খেতে দেয়। কিন্তু সময় এতটাই নিস্তেজ হয়ে পড়েন যে তিনি আর ওসব জড়িবুটি খেতে পারেননি। তখন ওঝার তাদের বলে হাসপাতাল নিয়ে যেতে। আমরা রাত আড়াইটা নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাইকে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভাইকে দেখে বলে দেন সে আর বেঁচে নেই।’ মৃতের এক প্রতিবেশী গৌতম রায় বলেন, ‘প্রথমেই ওঝার কাছে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো সময়কে হয়তো বাঁচানো যেত।’