এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে। মৃত কিশোরের নাম জহিরুল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার সন্ধেয় এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে আসার সময় জহিরুলের পায়ে কিছু একটা কামড়েছিল। তবে একঝলক দেখেই ওই কিশোর বুঝেছিল সেটা একটি সাপ। সে বিষয়টি পরিজনদের বলায় ২০ মিনিটের মধ্যে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অ্যান্টিভেনাম দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এরপর ওই কিশোরকে কল্যাণীর জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদে, ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা
পরিজনরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও জহিরুল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিল। এরপর রবি এবং সোমবার সেখানেই ভর্তি ছিল ওই কিশোর। এই দু’দিনে খুব বেশি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা যায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্রমশ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি।
মৃত কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বাড়ির ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য চিকিৎসকদের কর্মবিরতি থেকে তাঁরা আঙুল তোলেন। জহিরুলের বাবা সাদিক বিশ্বাস সামান্য একজন শ্রমিক। জহিরুল স্থানীয় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার এই মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সকলে।
মৈনাক দেবনাথ







