স্মৃতি ইরানি এদিন গুরুতর অভিযোগ করেছেন মমতার বিরুদ্ধে। সভা থেকে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের নাম বদলে রাজ্যের নামে প্রচার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্মৃতি এদিন বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদলে দিদি করলেন বাংলার আবাস যোজনা। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম হয়ে গেল আনন্দ ধারা। এসব তো বিরাট খেলা, তাই না দিদি! কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যের নামে করে পোস্টারও ছেপে দেওয়া হল। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষাণ সম্মান প্রকল্পের টাকা চাষিদের কাছে পৌঁছল না! তার দায় কার দিদি? এখন প্রচার করছেন, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়! আমি বাংলার মানুষের কাছে জানতে চাইছি, আপনারা কি এমন মেয়েকে চান যে ৮০ বছরের বৃদ্ধার উপর নির্যাতন চালায়! যে মেয়ে বিরোধী শিবিরের কর্মীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়, তাকে আপনার চান?''
advertisement
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর মনোনয়ন পেশের জন্য নন্দীগ্রামে এসেছিলেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও বাবুল সুপ্রিয়। নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দু লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট আরও অস্থির করে তুলছেন স্মৃতিরা। এদিন অবশ্য মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি খোদ শুভেন্দুও। তিনি গত কয়েকদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, তৃণমূল এখন আর রাজনৈতিক পার্টি নেই। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এদিনও তাঁর মুখে একই কথা শোনা গেল। একইসঙ্গে ফের পিসি-ভাইপো প্রসঙ্গ তুলেও ভোটের বাজার গরম করার একপ্রস্থ চেষ্টা করলেন তিনি। তবে এসবের মধ্যে তাত্পর্যপূর্ণ ইঙ্গিতও দেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেছেন, একমাত্র বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলেই চিটফান্ড-কাণ্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে পারে।