প্রদীপটা জ্বলেই। যেমন বিসর্জনের পরও জ্বলতে থাকে শান্তির দীপ। ঠিক সেই ভাবেই। সিউড়ির রায় পরিবারেও জোড়া প্রদীপ জ্বলে। বোধন থেকে বিসর্জন। নেভানো হয় না। বলা ভাল নিভতে দেওয়া হয় না। সর্বক্ষণ জুগিয়ে যেতে হয় জ্বালানি। একটা ধারণা আছে, ওই প্রদীপ নিভলেই বিপদ। এ যেন জীবনে আগুনের পরশমণি। প্রদীপ শিখায় সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা।
advertisement
রায় পরিবারের দুর্গাপুজো দীপ জ্বেলে যায়... প্রদীপের আলোয় নতুন করে পুজো দেখে সিউড়ির চুড়মুড়ো গ্রাম। সপ্তমী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিমার সামনে জ্বলে দুই প্রদীপ.. জ্বালিয়ে রাখে বংশের দীপ...
দুই প্রদীপ যেন দু’চোখ... চোখ বুজলেই যেমন অন্ধকার.. প্রদীপ নিভলেও কালো.. দুই প্রদীপ তাই নেভে না.. নিভতে দেয় না রায় পরিবার...
রায় পরিবারের পুজোর বয়স প্রায় আড়াইশো। প্রাচীন পুজোয় প্রতিমা পটের। দেড়শো বছর আগে মাটির প্রতিমা তৈরি করে পুজো করার চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের সদস্য। তারপরেই পরিবারের প্রদীপ শিখায় আঁধার নামে...
গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে দেশ.. যে যেখানেই থাকুক পুজো এলেই বাড়ি ফেরে রায় পরিবার। আর এ-সময়েই তো আঁচ পোহায় সম্পর্কগুলো। প্রদীপ শিখায় উষ্ণতা পায় ভালবাসা.. যে ভালবাসা চিরন্তন.. যে ভালবাসার আলো জ্বালিয়ে রাখে জীবনদীপ...রায়েদের জীবনযাত্রা।