আরও পড়ুন - করোনা আক্রান্ত জেনেও পড়ুয়াকে ক্য়াম্পাসে ডাকল রবীন্দ্রভারতী, শুরু বিতর্ক
বর্ধমান সীতাভোগ এণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ভিন দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে সীতাভোগ ও মিহিদানা। ইতিমধ্যেই তা বাহারিনের মন জয় করেছে। সীতাভোগ এণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের সম্পাদক প্রমোদ কুমার সিং বলেন, ইতিমধ্যেই বাহারিনে গিয়েছে মিহিদানা। সেখানে মিহিদানা খেয়ে সকলেই খুব উচ্ছ্বসিত। তাই এবার নতুন করে মিহিদানার যেমন অর্ডার মিলেছে, তেমনই নতুন করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে সীতাভোগও। একেবারে গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি জিআই ট্যাগযুক্ত সীতাভোগ ও মিহিদানা পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। কেন্দ্রীয় সংস্থা এপেডার মাধ্যমে এই মিষ্টি বিদেশে পাঠাচ্ছে মিহিদানা ও সীতাভোগ ট্রেডাস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন।
advertisement
আরও পড়ুন - ডার্ক ওয়েবের হাতছানি পড়ুয়াদের সামনে, অনলাইনে ক্লাস নিয়ে আরও সতর্ক হতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
২০১৭ সালে বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা জিআই স্বীকৃতি পায়। সম্প্রতি ভারতীয় ডাক বিভাগ এই দুটি মিষ্টিকে নিয়ে স্পেশাল এনভেলপ তৈরি করেছে। তবে বিদেশে সীতাভোগ ও মিহিদানা পাঠাতে দীর্ঘ কুড়ি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে প্যাকেজিং সমস্যার কারণে। খড়গপুর আইআইটি-সহ বিভিন্ন সংস্হার পরামর্শে ও নিজেদের উদ্যোগে ১০-১২ দিনের প্রিজার্ভ প্যাকেজিংয়ে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে এই দুই মিষ্টি। কোল্ড চেনে ৩৬ ঘন্টা রাখার পর বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে বিশেষ প্যাকেটে।
সীতাভোগ তৈরির প্রধান উপাদান গোবিন্দভোগ চাল। গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়। এই চাল গুঁড়ো করে প্রথমে পাউডার করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখা হয়। তারপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে ওই মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতে লম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সঙ্গে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনো কখনো কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। মিহিদানা তৈরি করা হয় গোবিন্দভোগ চাল ও ছোলার ব্যাসন দিয়ে। সীতাভোগ ও মিহিদানার হাত ধরে বিশ্বের বাজারে বর্ধমানের নাম ছড়িয়ে পড়ায় গর্বিত বর্ধমানবাসী।
Sharadindu Ghosh