গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের বোড়াই নার্সিংহোমের চারতলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল দিপালী জানা নামে এক নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ৷ নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি৷ টানাপোড়েনের পর আজই কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে মৃত নার্সিং পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্ত হয়৷ এ দিন বিকেলে নন্দীগ্রামের রায়নগর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় মৃত দিপালী জানার দেহ৷
সূত্রের খবর, যে ঘর থেকে ওই নার্সিং পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ৪৫ কেজি ওজনের ভারী জিনিস ঝুলিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা৷ পাশাপাশি, মৃত নার্সিং পড়ুয়ার মুখ থেকে বের হওয়া লালার নমুনাও সংগ্ৰহ করা হয়েছে বলে খবর। নার্সিংযহোমের যে ছুরি দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে নার্সিং পড়ুয়ার দেহ কেটে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেই ছুরিও পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় ফরেন্সিক দল।
advertisement
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নার্সিং হোমের মালিক সুবীর ঘোড়া এবং মৃত নার্সের প্রেমিকে রাধাগোবিন্দ ঘটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ওই নার্সিং পড়ুয়াকে বিয়ে করেননি তাঁর প্রেমিক৷ তা নিয়ে দু জনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছিল৷ অন্যদিকে মৃত নার্সিং পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে নার্সিং হোমের মালিক সুবীর ঘোড়াকে গ্রেফতার করেছে৷