TRENDING:

ভয় পেয়েছে ভয়ও, লম্বা লড়াই শেষে ফিরলেন নিজের চেয়ারে আইসি সুমন দাস

Last Updated:

ফিরতে চেয়েছিলেন, ফিরেও এসেছেন, ঘুম থেকে জেগে উঠে সুস্থ হওয়ার একটা লম্বা লড়াই

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শ্যামপুর: ফিরতে চেয়েছিলেন। ফিরেও এসেছেন। ঘুম থেকে জেগে উঠে সুস্থ হওয়ার একটা লম্বা লড়াই। শ্যামপুর থানার আইসির চেয়ারে বসেছেন সুমন দাস। হাসপাতাল, রিহ্যাব সেন্টার কাটিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী সুমন। বলছেন, ভয় পেয়েছে ভয়ও।
advertisement

টানা এগারোদিন কোমায় ছিলেন। স্বপ্ন দেখা থামাননি। নিজের চেয়ারে আবার বসার ইচ্ছে ছিল। অনেকটা পথ চলার তাড়ায় থমকেছে অসুস্থতা। শ্যামপুর থানার আইসি সুমন দাস আবার নিজের জায়গায় ফিরেছেন।

উলুবেড়িয়া হাসপাতাল। তারপর বেসরকারি হাসপাতালে আটচল্লিশদিন বেঁচে থাকার লড়াই। হার না মানা হারে অবশেষে যুদ্ধজয়। হাসপাতাল থেকে রিহ্যাব সেন্টার। শরীর ও মনের থেরাপি। আট মাস ধরে স্বাভাবিক হওয়ার ইচ্ছেপূরণ।

advertisement

স্পিচ থেরাপি, সাইকো কগনেটিভ থেরাপি, ফিজিও থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, সাড়ে ৪ মাস ধরে দিনে দু’বেলা ৩ ঘণ্টা করে থেরাপি, একেকটি থেরাপিতে পঁয়তাল্লিশ মিনিট, তিন সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ৷

সুমনের মন চেয়েছিল ঘুরে দাঁড়াতে। চেয়েছিলেন চিকিৎসকরাও। পুরোন কেসস্টাডি বা বিভিন্ন গল্প করে ধীরে ধীরে স্মৃতি ফেরানো হয়। সুমনের পাশে দাঁড়িয়েছে সময়। সময়ের হাত ছাড়েনি পরিবারও।

advertisement

বাবা ছিলেন পুলিশে। শ্বশুরও তাই। দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা ছেড়ে সুমনের একসময় পুলিশে যোগ। পাঁচই জানুয়ারি বারগ্রামের মুনসিপাড়ায় দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন। আঠেরো বছরের কেরিয়ার থেকে হয়তো বোঝেননি। সেদিনের ঘটনা একঝটকায় বুঝিয়েছে আরও সতর্ক হতে পারতেন।

নাম সু-মন। মানে যাঁর মন ভাল। সুমনের ঘটনায় মন ভাল সহকর্মী-চিিকৎসকদেরও। ভাল মনে এগিয়ে যাচ্ছেন সুমন দাস। ভয় পেয়েছে ভয়ও। ভয় বলছে, এমনও হয়?

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ভয় পেয়েছে ভয়ও, লম্বা লড়াই শেষে ফিরলেন নিজের চেয়ারে আইসি সুমন দাস