২০ মে, বুধবার ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের তিন জেলা । নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষের অনেকেই নদী বাঁধের ওপরে বসবাস করেন । ভরা কোটালের জলে সেই সমস্ত নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে । আশে পাশের গ্রাম জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে । বহু গ্রাম এখনও জলমগ্ন । সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত বাঁধ মেরামতি না করলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে । তাই অবিলম্বে বাঁধ সারানোর কাজ শুরু করতে হবে ।
advertisement
বুধবার সেচ দপ্তরের সচিব নবীন প্রকাশ-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আমফান ঝড় পরবর্তী এলাকা পুনঃ নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী । বৈঠকে বসিরহাট , জয়নগর , ডায়মন্ডহারবার , কাকদ্বীপ , তমলুক ও কাঁথি এলাকায় অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে । উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এর আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন মন্ত্রী । বৈঠকে আসন্ন পূর্ণিমার কোটালের আগেই বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা যেমন হিঙ্গলগঞ্জ , গোসাবা , সন্দেশখালি , পাথরপ্রতিমা-সহ সুন্দরবন এলাকার বাঁধ দ্রুত মেরামতি করার ব্যাবস্থা করা হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
মন্ত্রী জানিয়েছেন অফিসে বসে থেকে শুধু মনিটরিং করা নয়, আগামিকাল থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বাঁধগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পরিস্থিতি দেখে দ্রুত রিপোর্ট তৈরি করে সচিব ও মন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে । যেহেতু জল না নামলে অন্যান্য কাজ শুরু করা যাবে না , তাই এই কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে । তবে শুধু দক্ষিণের জেলাগুলি নয়। উত্তরের জেলাগুলিতেও বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে । আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। এই সমস্ত এলাকায় যে সব নদী বাঁধ আছে সেখানেও যথাযথ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ।
ABIR GHOSHAL