বাঙালি মানে বারো মাসে তেরো পার্বণ আর এর মধ্যে অন্যতম হল দুর্গোৎসব। তবে যে উৎসবই হোক না কেন মিষ্টি মাস্ট। দুর্গা পুজোতেও হয় না তার ব্যতিক্রম। ষষ্ঠীর বোধন থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর জমিয়ে খাওয়া দাওয়া থেকে বিজয়া দশমী সবকিছুতেই প্রয়োজন মিষ্টি। আগে বিজয়া মানে বাড়িতেই তৈরি হত নানান রকমের মিষ্টি। মা,কাকিমা,দিদিমা, ঠাকুরমা সবাই মিলে বাড়িতেই তৈরি করত নারকেল নাড়ু, নিমকি থেকে নানান রকমের মিষ্টি কিন্তু বর্তমানে কর্মব্যস্ততায় সেসব প্রায় অতীত। তাই দুর্গাপুজোর প্রথম থেকেই মিষ্টির দোকানগুলিতে থাকে ভিড় কিন্তু দশমীতে আরও বারে মিষ্টি চাহিদা। ক্রেতাদের মন জয় করতে মিষ্টির দোকানগুলিতে তৈরি হয় হরেক রকম মিষ্টি। বর্ধমানের স্পেশাল সীতাভোগ, মিহিদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সন্দেশ থেকে রসগোল্লা, নানান ফিউশন মিষ্টি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে এ বছরের স্পেশাল শুভ বিজয়া লেখা মিষ্টি, যার চাহিদাও রয়েছে বেশ ভাল। মিষ্টি বিক্রেতা সৌমেন দাস বলেন, পুজোর বিভিন্ন স্পেশাল মিষ্টি তৈরি করা হয়। দশমীর জন্য স্পেশাল ‘শুভ বিজয়া’ মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
কর্মব্যস্ততার মাঝে হয়তো বাড়ির উঠোনে বসে বিজয়া মিষ্টি তৈরি করার সেই চল এখন অতীত কিন্তু মিষ্টির সেই চিরন্তন মাধুর্য আজও অমলিন। তাই আধুনিকতার মোড়কে ফিউশন বা চিরাচরিত রসগোল্লা, জলভরা, আর এই বছরের বিশেষ আকর্ষণ ‘শুভ বিজয়া’ লেখা সন্দেশ সব মিলিয়ে জমজমাট বর্ধমানবাসীর বিজয়া দশমী।