জানা গিয়েছে, কান্দি পৌরসভার অন্তর্গত নামুকান্দি এলাকার বাসিন্দা অনামিকা বীরবংশী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে গত ২৬শে ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়। মায়ের পেটের মধ্যেই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রবিবার দুপুরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে তাঁর সিজার করা হয়৷ তখনই দেখা যায় অনামিকা পুত্র সন্তান আগেই মারা গিয়েছে।
অন্যদিকে, খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালীর আইরা গ্রামের বাসিন্দা টুম্পা বাগ্দী ভর্তি হয় প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রবিবার সকালে। রবিবার দুপুরে সিজার করলে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি৷ পরে দুর্ভাগ্যবশত, হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাত শিশুটির।
advertisement
কিন্তু হাসপাতালের তরফে দুই নবজাতকের শিশু একে ওপরের পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়। যার কারণে শিশু অদল বদলের অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগ কে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কান্দি মহকুমা হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগ।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কান্দি মহকুমা পুলিশ আরক্ষা আধিকারিক শাসরেক আম্বেদকর ও কান্দি থানার আইসি। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন কান্দি মহকুমা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌমিক দাস। দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রণব রকিবুল