বাবা মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধা মা আর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত দাদাকে নিয়ে সংসার। বাঁকুড়ার মেজিয়াবাজারের জরাজীর্ণ বাড়িটায় একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বাড়ির মেয়েই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেজিয়ায় শাখার কাজটা অস্থায়ী হলেও, তাঁরই বেতনে চলত সংসার। তাই হাজার কষ্ট হলেও কাজ ছেড়ে যাবেন না তরুণী। নিরুপায় কর্মীর এই সুযোগটাই কি নিতে চেয়েছিলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজীব কুমার? নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শেয়ার বাজারে খাটানোর জন্য তরুণীর কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রাজীব।
advertisement
দুর্গাপুরের এই ঘটনা ফিরিয়ে আনল ২০১৫ অগাস্টে আরেক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সমরেশ মজুমদারের কীর্তি। বিবাহবর্হিভুত সম্পর্কে যিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন এক মহিলার সঙ্গে। পরে সন্তানসহ সেই মহিলার টুকরো দেহ বাক্সবন্দি করে করে গঙ্গায় ফেলে দেন সমরেশ।
পাকা মাথা খাটিয়েছিল রাজীবও। কিন্তু শেষমেশ নিজেই পুলিশকে খবর দেন। তরুণী আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের কাছে জানান রাজীব। যদিও খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শান্ত স্বভাবের মেয়েটার করুণ পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা।
তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার মেজিয়াবাজারে বনধের ডাক দিয়েছেন এলাকাবাসী।