“প্রধানমন্ত্রী মোদি, যিনি আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, তিনি অন্যদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলছেন। তিনি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে ইডি-সিবিআইকে দিয়ে তল্লাশি অভিযান করাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনে রাখা উচিত। তারা তৃণমূল কংগ্রেস, বাংলার মানুষ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যত দমানোর চেষ্টা করবে, ততই আমরা আরও ওপরের দিকে উঠব। আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেম চেঞ্জার হয়ে উঠবেন, এবং কেন্দ্রের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে উৎখাত করবেন,” বলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
advertisement
গত বছর, আসানসোলের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস এবং শত্রুঘ্ন সিনহার ওপর আস্থা প্রদর্শন করেছিলেন, এবং শত্রুঘ্ন সিনহা ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয় পাইয়ে দিয়েছিলেন বাংলার শাসক দলকে। বাংলার জনগণের কাছে শত্রুঘ্ন সিনহা আবেদন জানান, “আমি এখানে এসেছি বিহারীবাবু এবং আপনাদের বাঙালিবাবু হিসেবে, যিনি আসানসোলে ঐতিহাসিক মার্জিনে জিতেছিলেন মানুষের আশীর্বাদে ও তৃণমূল পরিবারের অধ্যাবসায়ের জোরে।”
রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে আসানসোলের সাংসদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার প্রতিটি মানুষের খেয়াল রেখেছেন, কিন্তু বিজেপি নেতারা সেগুলিকে ভাঁওতা বলে কটাক্ষ করে। এখন বিজেপি বলছে ক্ষমতায় এলে তারা আরও বেশি দেবে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কোনও কাজ করেনি কেন?” প্রচারে শুধুমাত্র শত্রুঘ্ন সিনহাই ছিলেন না, আরও ২০ জনেরও বেশি তারকা প্রচারক ১৬টি জেলায় যান এবং শেষ সপ্তাহের প্রচারে ৫০টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘুরে প্রচার করেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৮ জুলাই।
আরও পড়ুন: রাতে ফিরলেন না বাড়িতে, কোথায় গেলেন সায়নী ঘোষ? শুক্রবার নিয়ে বিরাট জল্পনা
মানবাজার-১-এ জনসভা চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মানসরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “বাংলা ছাড়া আর কোনও রাজ্যে মা-বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পান না। বিজেপি ও সিপিএম এটাকে দয়া বলে, তারা চায় না আমাদের মা-বোনেরা স্বনির্ভর হোন।”
“বিজেপির রাজ্য নেতারা বাংলার মানুষের কাছে ভোট চাইছেন, অথচ কেন্দ্রে তাদের সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর ভাল থাকার কথা ভাবছেন, তাদের জাতি-ধর্ম-বর্ণ বা রাজনৈতিক রং নির্বিশেষে। আধার-প্যান সংযুক্তিকরণে ১ হাজার টাকা নিচ্ছে ওরা, কোন ভিত্তিতে এই টাকা চাওয়া হচ্ছে? এবারও বাংলার মানুষ ওদের ভোটে উচিত শিক্ষা দেবে,” বলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ভোররাতে হাওড়ার বহুতলে এ কী কাণ্ড, দলে-দলে রাস্তায় নেমে এল মানুষ! আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে জনসভায় সাংসদ ড.শান্তনু সেন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিনামূল্যে দেওয়া চাল মানুষকে ১২০০ টাকার গ্যাসে রান্না করতে হচ্ছে, যা মোদী সরকারের আমলে হয়েছে। মানুষ কম খরচে হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন, অথচ বিজেপি দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। টমেটোর দাম ১০০ টাকা কেজি ভাবা যায়? পেট্রোল-ডিজেলের দামও বেড়ে গিয়েছে, বিজেপি যতরকমভাবে সম্ভব মানুষকে লুটে নিচ্ছে।
