সেই ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিবিজড়িত ‘আবাস’ নামক বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে সেখানে নাকি বহুতল নির্মাণ হবে৷ প্রশ্ন উঠেছে এভাবেই কি কবির স্বাদের শান্তিনিকেতন ঠিকাদার, জমি হাঙরদের দখলে চলে যাবে?
উল্লেখ্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিশ্বভারতীর প্রথম আচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৪১ সালে কবির মহাপ্রয়াণের পর ১৯৪২ সালে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় আচার্য হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তখনও বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি৷ তবে শান্তিনিকেতনের মানুষজনের কাছে তিনি ‘অবন ঠাকুর’ নামেই পরিচিত বেশি।
advertisement
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজো ভাই গিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তাঁর ছেলে গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্ত্রী সৌদামিনী ঠাকুরের ছোট ছেলে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তাঁর যোগ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্যে, কথোপকথন, শিল্পচর্চা প্রভৃতি নিয়ে বহু লেখনী, ইতিহাস রয়েছে। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীর পাশাপাশি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখকও ছিলেন৷ চিত্রকলার মধ্য দিয়ে কাহিনী বর্ণিত শকুন্তলা, রাজকাহিনী, ক্ষীরের পুতুল, ভারত শিল্প, নালক প্রভৃতি কালজয়ী বইয়ের স্রষ্টা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই রকম একজন মানুষের বাড়িও বাদ গেল না৷ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী, গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে স্মৃতি৷ যা নিয়ে রীতিমতো আক্ষেপ, ক্ষোভ শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক, আশ্রমিক সকলেরই৷