ইঁদুরের খোঁজে জমির আলে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে শয়ে শয়ে কার্তুজ। শতাধিক কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জঙ্গলমহলে। এককালে মাওবাদীদের আতঙ্কে উদ্বিগ্ন ছিল এই জঙ্গলমহল। মাওবাদী কার্যকলাপ না থাকলেও পুরনো শতাধিক কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রায় দেড়শোরও বেশি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের একদা ‘মাও আঁতুড়ঘর’ হিসেবে পরিচিত শালবনিতে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহের প্রথম দিন শালবনি থানার গামারিয়া এলাকায় সকালে ইঁদুরের খোঁজে জমির আল খোঁড়াখুঁড়ি করছিলেন স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিছু মানুষজন। বেশ কিছুটা খুঁড়তেই সেখানেই বেরিয়ে আসে প্যাকেট প্যাকেট কার্তুজ।
ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়রাই খবর দেন, শালবনি থানায়। দ্রুত পুলিশ পৌঁছে ওই কার্তুজ উদ্ধার করে। শুধু তাই নয়, এলাকায় আর কার্তুজ রয়েছে কিনা তার খোঁজে পাশের কিছুটা অংশ খোঁড়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ১৭৯ টি পুরোনো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। কার্তুজগুলি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, এককালে মাওবাদীদের কার্যকলাপের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল জঙ্গলমহলের এই ব্লক। অনুমান করা হচ্ছে, কার্তুজগলি ১৫-১৬ বছর আগের, অর্থাৎ মাওবাদী আমলের বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় গৌতম মাহাতো, বলেন, এদিন সকালে, স্থানীয় বেশকিছু মানুষ ইঁদুরের খোঁজে জমির আল খোঁড়ার সময় ব্যাগ দেখতে পায়। ব্যাগ খুলতেই পাওয়া যায় এত কার্তুজ। একসময় মাওবাদীদের আক্রমণে অতিষ্ঠ ছিল এই জায়গা। সেই সময়ের হতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- বাংলা-ওড়িশা সীমান্তের প্রশাসনিক কেন্দ্র দাঁতনের বিস্মৃত ইতিহাস
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া কার্তুজ গুলি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তবে কার্তুজগুলি কবেকার তা খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মাওবাদী কার্যকলাপের এত বছর পর পুরনো কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।






