এমনিতেই এ বার শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা হয়নি। তার ওপর এখনও সেভাবে বাসিন্দারা বাইরে বের হচ্ছেন না। তার ফলেই মিষ্টির চাহিদা এ বছর কম বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, '' প্রতি বছর শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলায় লাখো মানুষের ভিড় হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেল বা সড়কপথে অগণিত পর্যটক শান্তিনিকেতনে যান। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বোলপুর যাতায়াতের পথে অনেকেই শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে জলযোগ সাড়েন। ল্যাংচা কিনে নিয়ে যান। আবার অনেকে শান্তিনিকেতনে যাতায়াতের পথে বর্ধমানের বিখ্যাত মিষ্টি সীতাভোগ মিহিদানা কেনেন। কিন্তু এবার পৌষ মেলা না হওয়ায় মিষ্টির দোকানগুলোতে সেই চেনা ভিড় নেই।
advertisement
শক্তিগড়ের ল্যাংচা বিক্রেতারা জানান, '' এমনিতে বছরের এই সময়ে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ে... সড়কপথে অনেকেই কাছে দূরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। তাদের অনেকেই ল্যাংচা খেয়ে, কিনে বাড়ি ফেরেন। পৌষ মেলার সময় সেই চাহিদাটা অনেকটাই বেড়ে যায়। অন্যান্যবার পৌষ মেলার জন্য বাড়তি মিষ্টি তৈরি করতে হয়। কিন্তু এবার পৌষ মেলা না হওয়ায় ল্যাংচার বিক্রি নেই বললেই চলে।
বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানা বিক্রেতারা বলছেন, '' এমনিতেই সারাবছর করোনা ও লকডাউনের জেরে বিক্রিবাটা বন্ধ। এখন আনলক পর্বের হাত ধরে জনজীবন অনেকটা স্বাভাবিক হলেও সীতাভোগ মিহিদানা চাহিদা অন্যান্যবারের তুলনায় বেশ কমl কারণ, বাসিন্দাদের অনেকের হাতেই পর্যাপ্ত টাকা নেই। চাল ডাল তেলের চাহিদা মিটিয়ে মিষ্টি কেনার আর্থিক সামর্থ্য হারিয়েছেন অনেকেই। তার ওপর পৌষ মেলা না থাকায় ক্রেতা আরও অনেকটাই কম রয়েছে। এই অবস্থার যে কবে পরিবর্তন ঘটবে তা বোঝা যাচ্ছে না। তবু পৌষ মেলার হাত ধরে কিছুটা হলেও বিক্রিবাটা হবে এমনটা আমরা আগে থেকে আশা করেছিলাম। কিন্তু এবার পৌষ মেলা না হওয়ায় আমরাও হতাশ।''
SARADINDU GHOSH