সাংবাদিক সম্মেলনে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিশ্বভারতীর সুনাম নষ্ট করেছে। তিনি বিজেপি, আরএসএস-এর হয়ে কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চলছে। ছাত্রদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্রদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছিল।"
আরও পড়ুন: 'ভাল লাগছে', এক সিদ্ধান্তেই পাল্টে গেল অনুব্রত মণ্ডলের মুড! কী এমন ঘটল?
advertisement
তাঁর আরও অভিযোগ, "সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ যা যা শিখিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সরানোর একটা চক্রান্ত চলছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। ৬ জন সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রের সাসপেনশন ফিরিয়ে নিতে হবে। কোর্টের রায় থাকার পরও সোমনাথ সৌকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে ভর্তি নিতে হবে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দিঘার সৈকতে যাওয়ার পথে এ কী দৃশ্য! অবাক হয়ে দেখলেন পর্যটকরা
এই দাবিগুলোকে কেন্দ্র করে আগামী ৩ তারিখ রাজ্য জুড়ে বিকেন্দ্রীয় প্রতিবাদ। ৫ তারিখ বোলপুর স্টেশন থেকে ‛বিশ্বভারতী চলো’ মহামিছিল হবে। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করব। যদি, দেখা না হয়, আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব। এই মর্মে আমরা নাগরিক সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছি। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে আহ্বান জানাচ্ছি। দরজা খোলা আছে। সকলের সাহায্য, সমর্থন নিয়ে আমরা বিশ্বভারতীর গরিমা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালাব।"
আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারছেন না এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সৌ। তার অভিযোগ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কারনে তিনি এমএ তে ভর্তি হতে পারছেন না। শুধুমাত্র প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত বা যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই ব্যক্তিগতভাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তার শিক্ষা সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।