কালীবাজার
পুণ্যস্নানের জন্য একটি বাসে করে কচুবেড়িয়া ঘাট থেকে গঙ্গাসাগরে যাচ্ছিলেন ঝাড়খণ্ডের চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশজন তীর্থযাত্রী। কালীবাজার এলাকায় একটি মোড় ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। গতি বেশি থাকার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ধুনিয়া দেবী। আহত হন আরও ২০ জন। তাঁদের প্রথমে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁদের কলকাতায় আনা হয়।
advertisement
রুদ্রনগর
অন্যদিকে, গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে পুণ্যার্থীবোঝাই একটি বাস। সাগরের রুদ্রনগরের কাছে নয়ানজুলিতে বাস উল্টে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। এরপর পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্গাপুর
গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে তীর্থযাত্রীদের আরেকটি বাস। দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় দু'নম্বর জাতীয় সড়কে ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে বাস উলটে যায়। আহত হয়েছেন ১৫ জন পুণ্যার্থী। তাঁরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। গত ৪ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলার কোহলি গ্রাম থেকে পঞ্চাশ-ষাটজনের একটি দল তীর্থযাত্রায় বের হয়। আগ্রা, মথুরা, বৃন্দাবন হয়ে তীর্থযাত্রীরা গঙ্গাসাগরে যাচ্ছিলেন। সেইসময়ই বাসটি উল্টে যায়। অনুমান, দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তিতে চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই দুর্ঘটনা ঘটে।