গোবরডাঙ্গার চার নম্বর ওয়ার্ড ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশেই এভাবে সাতটি দোকান ধসে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি রিতা মুখোপাধ্যায় অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা দোকান তোলার ক্ষেত্রে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তাঁর জনপ্রতিনিধি হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই এই দোকান হয়েছে বলেও জানিয়ে দেন রীতা মুখোপাধ্যায়। তিনি এও জানান, ওই জায়গাটি পিডব্লিউডির হওয়ায় বিষয়টি তার নজরদারির মধ্যে হলেও এর কোনও রিপোর্ট বা অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। ফলে তাই তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
advertisement
আগে ক্ষমতায় থাকা জনপ্রতিনিধিদের উপর দায় চাপাতেই দেখা যায় এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে। ঘটনার খবর পেয়েই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর দত্ত। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশে থাকা ওই জায়গাটি পুকুরের এলাকা হওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ মাটি ইঁদুরের গর্তের কারণে সুরঙ্গ হয়ে গিয়েছে ফলে মাটি আলগা হয়েই এই ধরনের বিপত্তি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প পেয়ে গেলেন বাংলাদেশিরা! দলে দলে যাচ্ছেন সেই দেশে
ইট দিয়ে গাঁথা বিল্ডিংয়ের ভার সহ্য করতে না পেরেই এদিন ভোরে পরপর সাতটি দোকানে ধস নেমে তলিয়ে যায় পিছন দিকে। কোনও রকম ঝড়বৃষ্টি ছাড়াই হঠাৎই এভাবে দোকানগুলি পুকুরের উল্টে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ওই এলাকায় ধসে ভেঙে পড়া দোকান মালিকরা অবশ্য ব্যাপক লোকসান হয়েছে বলেও দাবি করেন। তবে ঘটনায় কোন রকম প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে পৌর প্রধান শঙ্কর দত্ত জানিয়েছেন, পুকুরের মাটি ফিলিং এর কাজ পৌরসভার তরফ থেকে করে দেওয়া হবে, যাতে ওই দোকানদাররা রুটি-রুজি না হারায় সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
ঘটনার পর থেকেই আশপাশের এলাকার মানুষজন ভিড় জমান গোবরডাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। ছুটে আসেন গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। এখন দেখার পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন কী ভূমিকা গ্রহণ করে, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কোন ব্যবস্থা করা হয় কি না।