পুলিশের ধারণা, মা-বাবা এবং আকাঙ্খা ছাড়াও উদয়নের সিরিয়াল কিলিংয়ের তালিকায় আরও অনেক নাম থাকতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে উচ্চবিত্ত তরুণীদের টার্গেট করত সে। সিরিয়াল কিলিং রহস্যের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতেই উদয়নের গার্লফ্রেন্ডদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
হাতে সময় মাত্র আট দিন। তারমধ্যেই যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ যোগাড় করতে হবে। তাই কোন পথে তদন্ত এগোবে, তা ঠিক করতে বৈঠক করেন বাঁকুড়া পুলিশ সুপার। আজই উদয়নের মোবাইলের সূত্রে তার বারোজন গার্লফ্রেন্ডের হদিশ মিলেছে। মহিলা আসক্তিতে ভরপুর উদয়নের হাতে আকাঙ্খা খুনের তদন্তে তাই ফের ভোপাল যেতে পারে বাঁকুড়া পুলিশ।
advertisement
সাধারণ আইনে কোনও অভিযুক্তকে সর্বাধিক ১৪দিনের বেশি পুলিশ হেফাজতে রাখা যায় না। ট্রানজিট রিমান্ডে ৬ দিন কেটে যাওয়ায় মাত্র ৮ দিন হাতে রয়েছে বাঁকুড়া পুলিশের। এই আট দিনে আকাঙ্খা খুনের মোটিভ জানাই চ্যালেঞ্জ তদন্তকারীদের কাছে। উদয়নের দাবি, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির কারণেই আকাঙ্খাকে খুন করে সে। কিন্তু তার এই যুক্তি মানতে নারাজ পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, বিভ্রান্তি ছড়াতেই একথা বলছে উদয়ন। আকাঙ্খা খুনের পিছনে কোনও আর্থিক কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
টাকার লোভে খুন আকাঙ্খা?
- ২০১৬-র জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তোলে উদয়ন
- আকাঙ্খার অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ টাকা ছিল
- সেবিষয়ে ওয়াকিবহল ছিল উদয়ন
- আকাঙ্খার অ্যাকাউন্টের টাকা হাতাতেই খুন কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
- খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের নথি
- তদন্তের প্রয়োজনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ফের ভোপাল যেতে পারে বাঁকুড়া পুলিশ
- খতিয়ে দেখা হচ্ছে আকাঙ্খা ও উদয়নের পাসপোর্টও
অন্যদিকে, সিরিয়াল কিলার উদয়নের মহিলাসঙ্গ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। উদয়নের ১২ জন গার্লফ্রেন্ডের হদিশ পেয়েছে ভোপাল পুলিশ। যারমধ্যে রিনা ও পূজা নামে দুই তরুণীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ভোপালে উদয়নের বাড়িতে এদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তালিকার বাকি ১০ জনের খোঁজে চলছে তল্লাশি
পুলিশের ধারণা, মা-বাবা এবং আকাঙ্খা ছাড়াও উদয়নের সিরিয়াল কিলিংয়ের তালিকায় আরও অনেক নাম থাকতে পারে। সিরিয়াল কিলিং রহস্যের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতেই উদয়নের গার্লফ্রেন্ডদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।