চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাস জনিত কারণেই এই সময় সমস্যায় পড়ছেন ছোট বড় সকলেই। তবে শিশু কিশোরদের সমস্যাই সবচেয়ে বেশি। জ্বর সর্দি কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টে ভুগছে অনেকেই। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে এই সংক্রান্ত রোগীর এখন থিকথিকে ভিড়। গত দু'সপ্তাহ ধরেই হাসপাতালে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর চিতাভস্মে রোজ গোলাপ রেখে নতজানু হয়ে আমৃত্যু প্রেম নিবেদন বৃদ্ধের
advertisement
জ্বর, ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা নিয়ে প্রচুর শিশু হাসপাতালে আসছে।আগে যেখানে গড়ে ৫০টি করে শিশু ভর্তি থাকত, এখন সেখানে সে সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। ভর্তি থাকা শিশুদের বেশির ভাগই জ্বর-সর্দি- শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। ভর্তির সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে বেডের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন : শরীরে একাধিক ফ্র্যাকচার নিয়ে শয্যাশায়ী কনে, হাসপাতালে এসে বিয়ে করলেন বর
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল তথা শিশু বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান কৌস্তভ নায়েক বলেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় বাচ্চাদের জ্বর ও ঠান্ডা লাগার সমস্যা হয়। তবে এ বার তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। জ্বর, সর্দি এবং বুকে সর্দি বসে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও আগের থেকে বেশি হচ্ছে। ছ'মাসের বাচ্ছা থেকে কিশোর, সকলেই ভুগছে এই সমস্যায়। আমাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। রোগের কারণ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা করা সহজ হবে। পাশাপাশি, রোগ নিয়ন্ত্রণও দ্রুত হবে।ঠান্ডা লাগলেই আতঙ্কিত না হয়ে বাচ্চাদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে শিশু বিভাগের আউটডোরে ২০০- ৩০০ জন রোগী আসে। গত দু'সপ্তাহে সে সংখ্যা ৬০০ ছুঁয়েছে। আউটডোরের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অনেককে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি এই ভাইরাসের আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাও।