আরও পড়ুন:ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যে বাড়ল করোনা মৃত্যু! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতার পরিসংখ্যান...
ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন অভিজিৎ স্যার! টিফিন টাইমে ছাত্রদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে মাঠে নেমেছিলেন! খেলতে খেলতে হঠাৎ-ই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। বুক চেপে ধরে মাটিতে বসে পড়েন। প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগটুকুই ছিল, আর সুযোগ দেননি... কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ! মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অভিজিৎ মণ্ডল। প্রিয় শিক্ষকের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পোলেরহাট হাইস্কুলে (School teacher dies in the day of marriage anniversary)৷
advertisement
আরও পড়ুন:দিঘা যাওয়ার পথে উল্টে গিয়ে নয়ানজুলিতে বাস, মৃত ৩, আহত অন্তত ১৫Tea
সোমবার, বিবাহবার্ষিকীর দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় স্ত্রীকে বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি ফিরবেন, বিশেষ দিনের জন্য ছিল নানা পরিকল্পনা! কিন্তু স্ত্রীকে দেওয়া কথা আর রাখা আর হল না! ফিরলেন না অভিজিৎ। জানা যায়, ক্রিকেট খেলতে খেলতেই আচমকা বুকে যন্ত্রণা শুরু হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার পোলেরহাট স্কুলে আসেন অভিজিৎ মন্ডলের স্ত্রী সোমা মন্ডল, সহ-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বারবার ভেঙে পড়েন কান্নায় । চোখে জল প্রতিটি পড়ুয়া থেকে শিক্ষকদের! খুব কাছের মানুষ অভিজিৎ যে আর নেই, কেউ-ই মানতে পারছেন না! শুধু পরিবার বা স্কুল কেন? সদা হাসিমুখের অভিজিতের চলে যাওয়ায় মর্মাহত প্রতিটি ভাঙড়বাসী। মঙ্গলবার স্কুলে নীরবতা পালন করেন ছাত্র,ছাত্রী, শিক্ষকরা। এরপর স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বছর পয়ত্রিশের অভিজিৎ মণ্ডল পোলেরহাট হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন৷ ২০১৩ সাল থেকে পোলেরহাট হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন ৷ সোমবার বেলা দুটো নাগাদ স্কুলের টিফিনের সময় স্কুলের মাঠেই ক্রিকেট খেলতে যান অভিজিৎ৷ খেলার মাঝেই হঠাৎ বুকে যন্ত্রণা অনুভব করে মাঠের মধ্যেই বসে পড়েন। সহ-শিক্ষকরাই প্রথমে জল নিয়ে এসে অভিজিতের প্রাথমিক শুশ্রূষা শুরু করেন৷ এর পর অভিজিৎকে প্রথমে একজন স্থানীয় চিকিৎসক এবং তার পরে স্থানীয় জিরানগাছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
পোলেরহাট হাইস্কুল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাশীপুর থানা এলাকার টোনা গ্রামেই থাকতেন অভিজিৎ৷ স্থানীয়রা বলছেন, বরাবর ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন তরুণ এই শিক্ষক ৷ স্কুলে চাকরি পাওয়ার আগে থেকে এলাকার মাঠে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন ৷ ক্রিকেট খেলতে খেলতেই তাঁর প্রাণ যাবে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা৷