বিগত কয়েক বছর ধরে এই বিদ্যালয়ের নেই একজনও পড়ুয়া অথচ নিয়ম করে স্কুলে আসেন বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষক।বসে থাকেন একা,শূন্য ঘরে।এক অদৃশ্য প্রতীক্ষায়—হয়তো আজ কেউ আসবে! শিক্ষক নিজেই বলেন, “আমি একাই আছি ২০১৮ সাল থেকে। ছ’জন ছাত্রছাত্রী নামেই আছে, কিন্তু কেউই আসে না। ফোন করে,বাড়ি গিয়ে ডেকে আনতে হয়। শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকরাও আর আগ্রহ দেখান না”। গলার সুরে হতাশা স্পষ্ট স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় সাহারও, “শিক্ষক না থাকলে বাবা-মায়েরা তো অন্য স্কুলে পাঠাবেই। চার-পাঁচ বছর ধরে স্কুলটা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।এখন তো মদের ঠেক হয়ে উঠেছে স্কুলটা”।
advertisement
গলসি পশ্চিম চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক (এসআই) জানান, “এই এমএসকেগুলো একসময় রাজ্য শিশু শিক্ষা মিশনের আওতায় ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে শিক্ষক সংখ্যা কমে গেছে। গোহগ্রামের এই বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষকও শীঘ্রই অবসর নেবেন। নতুন নিয়োগের কোনও নির্দেশ বা নীতিও নেই। ফলে স্কুলটি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে”।