স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বাস্তুদের উন্নয়নের স্বার্থে ১৯৫০ সালে ওই প্রাথমিক স্কুল তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমদিকে স্কুলটির ভালো রমরমা ছিল। তারপর পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করে। গত ৩০-৩২ বছর আগে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল দফতরকে বারবার সংস্কার করার কথা বলা হলেও সে কাজ হয়নি। সেই স্কুল বিল্ডিং ভেঙে দিয়ে ক্লাবের সদস্যরা স্কুলের ইট অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ।
advertisement
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক স্বপন কুমার দত্ত বলেন, "ওই স্কুল বিল্ডিং ভেঙে ফেলার খবর পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট এলাকার এসআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। তিনি পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন। তবে ওই প্রাথমিক স্কুলের ভবন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে খবর এসেছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, 'অনেকে কালীঘাটে যান, উনি ওখানে করেছেন!' মমতাকে শুভেন্দুর প্রণাম নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
যে ক্লাবের বিরুদ্ধে স্কুল বিল্ডিং ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, সেই ক্লাবের সম্পাদক তমালকান্তি মণ্ডল দাবি করেছে, "আমাদের ক্লাব এবং পার্কের পাশে ৩০-৩২ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলটি ভগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেখানে পাঁচিল ভেঙে যাচ্ছে। জঞ্জাল আগাছায় চারদিক ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। জল জমে সেখানে মশার বংশবিস্তার হচ্ছে। অসামাজিক কাজেরও অভিযোগ উঠছিল। সেসব পরিষ্কার করার কাজে হাত দেয় ক্লাবে সদস্যরা। স্কুল বিল্ডিং ভাঙা হয়নি। আমরাই এতদিন রক্ষা করে রেখেছিলাম। কিন্তু সংস্কারের অভাবে তা ভেঙে গিয়েছে। এখন সেই সব পরিষ্কারের কাজ চালানো হচ্ছে।"
আরও পড়ুন, ফের ডিলিট উপাধি পাচ্ছেন মমতা, কলকাতার পরে সম্মান দিতে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়
এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে স্কুল ভবনের আর সেখানে কোনও অস্তিত্ব নেই। বরং ভবন ভেঙে ফেলার প্রচুর ইট এখানে সেখানে পড়ে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, ক্লাবের সদস্যরা সেই ভবন না ভাঙলে, প্রাথমিক স্কুল দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেই ভবন কারা ভাঙল। যদিও এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ক্লাবের সদস্যরাই মাঠ বড় করতে এই ভবন ভেঙে ফেলেছে।
