বিবৃতি দিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, 'জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার নিয়োগ-দুর্নীতির নথি সহ ৫টি ব্যাগ, ব্যাগ থেকে উদ্ধার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি, চাকরিপ্রার্থীদের ছবি-সহ তালিকা উদ্ধার, মিলেছে চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডও। কার থেকে কত টাকা, ব্যাগে মিলেছে সেই সংক্রান্ত হিসেবের তালিকাও। সিবিআই হানার খবর পেয়ে আগেভাগে নথি লোপাটের চেষ্টা জীবনকৃষ্ণর।' অবশেষে সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হল। আরও একটি মোবাইল ফোনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে এ কী উদ্ধার হল! ৩২ ঘণ্টা পরও তল্লাশি, অবাক সিবিআই
২০০৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে শুরু হয় জীবনকৃষ্ণের পথচলা। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান তিনি। তাঁর বাবার বীরভূমের সাঁইথিয়াতে তেল মিল ও আলুর কোল স্টোরেজ আছে। অন্যদিকে কান্দি মহকুমায় রেশন চালের ডিস্ট্রিবিউটারশিপও আছে তার বাবা বিশ্বনাথ সাহার নামে। বর্তমানে পৈত্রিক ব্যবসা দেখাশুনো করেন।
আরও পড়ুন: ফের শিরোনামে গোপাল দলপতি-হৈমন্তী জুটি! এবার যা করল সিবিআই, রহস্যফাঁস সময়ের অপেক্ষা
যদিও পরে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতা ত্যাগ করে নানুরের দেবগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষকতা করেন ২০২১ সাল পর্যন্ত। কলেজ জীবন থেকেই তৃণমূল করেন। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হিসেবেই পরিচিত জীবন কৃষ্ণ সাহা। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অমিও দাসকে ২৭৫৩ ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন তৃণমূলের জীবন কৃষ্ণ সাহা।
নানুর ব্লকের দেব গ্রাম হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরে কুন্ডল হাইস্কুলে যোগদান করেন ২০২১ সালে। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কারণে সেখানে যোগদান করতে পারেননি। স্ত্রী টগর সাহাকে বিয়ে করে ২০১৩ সালে। ২০১৪ টেটে প্রাথমিক চাকরি পান। বাড়ির কাছেই একশো মিটারের মধ্যে আন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। শ্যালক নিতাই সাহা ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।