কোথাও যেমন অনেক স্বামী বিয়ের পর স্ত্রীদের ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন, আবার কোথাও কিন্তু এমন অনেক স্বামীই আছেন যাঁরা স্ত্রীদের বিয়ের পর পড়ার সুযোগ করে দেন। তবে বর্তমানে মেয়েরা ঘরবন্দি নেই, তাঁরা উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছেন এবং নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বামীরা যেখানে তাঁদের স্ত্রীদের বিয়ের পর পড়ার সুযোগ করে দিয়ে উচ্চ শিক্ষিত করেছেন তেমনই রাজনীতিতেও তাঁরা তাঁদের স্ত্রীদের পঞ্চায়েতে প্রার্থী করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য! বেসরকারি হাসপাতাল থেকে স্বস্তির খবর
কিছু কিছু মহিলা প্রার্থী সেখানে জয়ীও হয়েছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই জয়ী মহিলা প্রার্থীরা দলের কোনও কাজে অংশ নেন না। তাঁদের স্বামীরা থাকেন মিটিংয়ে। সাংসদ শতাব্দী রায় মঞ্চ থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দেন, পঞ্চায়েতে জয়ী মহিলারা প্রার্থীদের যেন বাড়িতে বসিয়ে না রাখেন। তাঁদের যেন কাজ শিখিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁদের যেন কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শ্রাবণ সোমবারের শিব পুজো, ২৩০ বছরের পুরনো মন্দিরে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়, দেখুন
তিনি বলেন , “মেয়েরা এখন অনেক এগিয়ে। বিয়ের পর স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীদের শিক্ষিত করার জন্য তাঁদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেন। ঠিক তেমন রাজনীতিতেও তাঁরা তাঁদের স্ত্রীদের এগিয়ে দিয়েছেন। বীরভূমের অনেক এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে মহিলারা প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে আবার অনেকে জয়ীও হয়েছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তাঁরা জয়ী হওয়ার পর দলের মিটিং, মিছিল, সভা কোনও কাজেই তাঁরা থাকেন না। তাঁদের স্বামীরা সেখানে উপস্থিত থাকেন। এখানেই আমার আপত্তি , জয়ী মহিলা প্রার্থীরাও যেন দলের সমস্ত কাজে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের যেন কাজ শিখিয়ে দেওয়া হয় এবং কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।”
সুপ্রতিম দাস