পুলিশের আবেদনে অনেকেই সাড়া দিয়েছিল, অনেকেই জামা কাপড় দিতেও রাজি হয়েছিল কিন্তু থানার বড় বাবু মৃনাল সিনহা সটাং নাকজ করে দেন সেই আবেদন | মৃনাল বাবুর দাবি এই ভাবে জামা কাপড় দিলে হয়তো শিশুগুলো নতুন পোশাক পাবে কিন্তু তার মধ্যে আমার বা পুলিশ কর্মীদের আন্তরিকতার একটা অভাব থেকেই যাবে | সবারই পরিবার রয়েছে, বাড়িতে সন্তানরাও রয়েছে তাদের জন্য আমাদের যতটা চিন্তা ঠিক ততটাই যদি আমাদের আশেপাশে থাকা পূজা -নাড়ু রা ভালো না থাকলে আমরা বা আমাদের সন্তানরাও ভালো থাকতে পারে না | তাই আমার আবেদন ছিল আমার থানার আমার সহকর্মীদের কাছে , আর সেই আবেদনেই সাড়া দিলো তারা | প্রীতিটি শিশুদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের জামার মাপ নিয়ে নিজেরা গিয়েই পছন্দ করে জামা কিনে নিয়ে আসে সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ কর্মীরাই | পুলিশ কর্মীদের ইচ্ছায় থানায় দেড়শোজন শিশুর হাতে পুজোর নতুন পোশাকের সাথে সাথে থানায় বসেই চললো ভুরিভোজের আসর | সঙ্গে চলল খুদেদের নাচ গানের আসর |
advertisement
আরও পড়ুন - ‘‘ওরা জানতে পেরে যায় পুলিশকে জানিয়েছি’’- মুক্তিপণ নিয়ে সারা রাত দাঁড়িয়ে থেকেও এল না কেউ...
এক পুলিশ কর্মীর বলে উঠলেন , পুজো তো সবার আমাদের তো দায়িত্ব মানুষ যাতে পুজো ভালো করে কাটাতে পারে তার দিকে নজর দেওয়া, পুজোরদিনে তো পরিবার পরিজনদের থেকে আমরা দূরেই থাকি তাই কিছুটা হলেও এই শিশুগুলিকে নিয়েই যতটা আনন্দ উপভোগ করা যায় আর কি ? পুলিশের এমন উপহারে কেউ কেউ ফিরে পেলো এক নতুন জীবন, কেউ কেউ আবার ফিরে পেলো পুরোনো জীবন | সবার মধ্যে উৎসব আবহ ছড়িয়ে দিতে পেরে হাওড়া সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ কর্মীরাও বেজায় খুশি |
Debasish Chakraborty