কায়াকল্প কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিছন্নতা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য পরিসেবার বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়ন করা হয়। গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য কেন্দ্র উভয়ই এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। একেক বারে কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে এই মূল্যায়ন হয়। পরের দফায় বাকি অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে মূল্যায়নের কাজ হয়। এইভাবে কয়েক দফায় সার্বিকভাবে সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল্যায়ন করা হয়। সম্প্রতি রাজ্যের শহরাঞ্চলের পুরসভা এবং পুর নিগম পরিচালিত কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে এই মূল্যায়ন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে এই মূল্যায়ন করা হবে। এই দফায় যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি মূল্যায়নের তালিকায় ছিল তার মধ্যে জেলার পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল ১৭ টি। যার মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার (৩) ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলার মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে ‘চাকরিহীন’ স্কুলশিক্ষক জামাই, হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন শ্বশুর
শান্তিপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর শহরে পুরসভা পরিচালিত ছয়টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। আরও তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র অনুমোদিত হয়েছে। তার নির্মাণ কাজ চলছে। বর্তমানে যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেখানে সাধারণ রোগব্যাধির চিকিৎসার পাশাপাশি প্রসূতি এবং নবজাতকদের টিকাকরণ, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ হয়। সেখানে চিকিৎসক ছাড়াও অন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা রয়েছেন। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি এই স্বীকৃতি আগামীদিনে আরও ভাল কাজ করার উৎসাহ দেবে কর্মীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শান্তিপুরের পুর প্রধান সুব্রত ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিতে চিকিৎসা এবং শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়। এই স্বীকৃতি পেয়ে ভাল লাগছে।” অন্যদিকে আশা কর্মীদের জন্য রাজ্য সরকার নতুন কিছু চিন্তাভাবনা করছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
Mainak Debnath





