কী অভিযোগ? শান্তিপুরের গদাধর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪৫ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী শক্তিপ্রমুখ হওয়ার কথা ছিল তাপস দাস নামে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীর। কিন্তু এদিন সকাল থেকে দেখে মেলেনি ওই বিজেপি কর্মীর। ঘটনার কথা জানার পরই সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে তিনি জানতে পারেন, ওই বিজেপি কর্মীর মা তাঁর ছেলেকে ঘরে তালাবন্দি করে রেখেছেন। কেন? তাপস দাস ও তাঁর মায়ের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে এসে শাসক দলের লোকজন জানিয়ে গিয়েছেন, বুথে গেলে খুন করা হবে। ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসও অভিযোগ করেন, ''রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী মুখে কালো ফেট্টি বেঁধে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।'' এরপর অবশ্য দলীয় কর্মীকে তালাবন্ধ ঘর থেকে বের করে বুথে বসান।
advertisement
আরও পড়ুন: দরজায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী, আটকে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী! শোভনদেবের রুদ্রমূর্তি...
অপরদিকে, তৃণমূল প্রার্থী ব্রজ কিশোর গোস্বামীর অভিযোগ, ''শান্তিপুরের কোথাও এমন ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। আমি যত বুথ ঘুরেছি, সব জায়গাতেই বিজেপি তাঁদের এজেন্ট বসিয়েছে। এখন যেখানে এজেন্ট দিতে পারছে না, সেখানকার নামে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে।''
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ ছাড়া আর ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু নয়, আয়কর আবাসনে তৈরি হল ইকো অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
এদিকে, শান্তিপুর বিধানসভার গোবিন্দপুর মাহিষ্যপাড়ার ৪০ নম্বর বুথে বিকল হয় যায় ইভিএম। যার জেরে, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি ওই বুথের ভোটাররা। তবে ভোটকর্মীরা নতুন ইভিএম মেশিন এনে ভোট শুরু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটদানের হিসাবে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে অবশ্য শান্তিপুরেই (১৫.৪০ শতাংশ)। দিনহাটায় ভোট পড়েছে ১১.১২ শতাংশ, খড়দহে ১১.৪০ শতাংশ এবং গোসাবায় ১০.৩৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনও।