বালি মাফিয়া ঠেকাতে এবার কড়া হতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নীতি তৈরি করা নিয়ে গত ২৭ জুলাই মুখ্যসচিব সব জেলাশাসকদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকও করেন। সোমবারই বালি খাদান নিয়ে নীতি তৈরি করে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা রাজ্যের সব জেলাশাসকদের পাঠানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে...
advertisement
১.যেই বালি খাদান গুলোকে কেন্দ্র করে অকশন চলছে সেগুলি দ্রুত সাসপেন্ড করতে হবে। নতুন কোনও অকশন বা লিজ দেওয়া হবে না।
২.যখনই লিজের সময়সীমা শেষ হবে, তখন পুনরায় সেই লিসের নবীকরণ করা যাবে না।
৩.বর্ষার সময় কোনও বালি খাদান এর কাজ করা যাবে না। বেআইনি পরিবহনব্যবস্থা দেখতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে সমস্ত ধরনের বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করার জন্য।
৪."ওয়েস্টবেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড" বালি খাদান সংক্রান্ত সমস্ত কিছুর নোডাল এজেন্সী হিসেবে কাজ করবে।
৫.ওয়েস্টবেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পোর্টাল তৈরি করবে কতগুলি বালি খাদান অঞ্চল রয়েছে জেলাগুলিতে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পোর্টাল তৈরি করে প্রত্যেকটি জেলাকে ২৯শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে। নয়া নীতিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
৬.কেন্দ্রীয়ভাবে ই-চালান সিস্টেম তৈরি করা হবে।
৭, শুধু তাই নয় পরিবহন ব্যবস্থার জন্য নতুন করে মডিউল তৈরি করা হবে এবং সেটি উদ্বোধন করা হবে।
গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বালি খাদান নিয়ে নয়া নীতি তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেন। বালি খাদান নিয়ে মূলত স্বচ্ছতা আনার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে এই নয়া নীতি তৈরি করা হল বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তবে বালি খাদান নিয়ে কার্যত এবার জেলাশাসকদের যে ভূমিকা থাকছে না তা কার্যত স্পষ্ট এই নীতির মাধ্যমেই। মঙ্গলবার মুখ্য সচিবের সঙ্গে জেলাশাসকের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির জেলাশাসকদের মাস খানেকের মধ্যেই এই নীতি কার্যকর করার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়