গত বছরের আতঙ্ক-স্মৃতি উস্কে দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই ফের মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন শুরু। সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জে বেশ কিছু দিন অন্তর অন্তর মাথাচারা দিচ্ছে ভয়াবহ ভাঙন। গত রবিবার মহালয়ার সকালে কাকুড়িয়া মহেশতলা গ্রামে নদীগর্ভে তলিয়ে যায় প্রায় ৩-৪টি বাড়ি, প্রায় ১৫ কাঠা জমি। এর পর ফের মঙ্গলবার সকাল থেকে মহেশতলা এলাকায় ভাঙনে তলিয়ে যায় বেশ কিছু এলাকা। ৮-১০টি বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।
advertisement
আরও পড়ুন : রাজস্থানের বারমেরে সরকারি স্কুলের শৌচালয়ে ধর্ষিতা দলিত কিশোরী
গঙ্গার পাশেই ধুলিয়ান যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির প্রায় অর্ধেক একটু একটু করে চোখের সামনেই তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। বাকিটুকুও যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যাবে নদীগর্ভে। সামনেই দুর্গাপুজো আর তার আগে s। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রতি বছর ভাঙন হলেও, শয়ে শয়ে পরিবার ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হলেও ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : পুজোর মুখে কি বন্ধ হবে বিনামূল্যে রেশন ?
ভাঙন বিধ্বস্ত মীনা সাহা বলেন, ‘‘ কিছু দিন আগেই ভাঙনে আমার বাড়িটা চোখের সামনে তলিয়ে গেল। আমাদের মাথার উপর ছাদ আর থাকল না।’’ গ্রামবাসী মিন্টু সরকার বলেন, ‘‘ ভাঙনের যা গতি তাতে মনে হচ্ছে আর এক দুদিনেই আমার বাড়িটা নদীতে তলিয়ে যাবে। দুর্গা পুজো আর কী হবে। এখন শুধু বাড়িটা বাঁচাতে চাই। সরকার ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা করুক। না হলে পুরো গ্রামটাই নদীতে তলিয়ে যাবে। ভাঙনের সময় কোনও কাজ করবে না। ’’ বিধায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু জল হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন চলছে।’’