তবে কৃতিত্ব সমাজের জন্য কোনও অংশেই কম নয়। মানুষ হিসেবে জন্মানো তাঁর সার্থক। কারণ তিনি মানুষের কথা ভেবে পরিবেশ বাঁচানোর আহ্বান জানাচ্ছেন প্রত্যেককে। বিভিন্ন চায়ের ঠেকে কিংবা যেখানে মানুষের জমায়েত বেশি সেই সমস্ত জায়গায় তিনি মানুষের কাছে আহ্বান রাখছেন পরিবেশ বাঁচানোর। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি করে চলেছেন এই কাজ। ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক নানা কাজের পাশাপাশি বৃদ্ধের পরিবেশ বাঁচানোর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলে।
advertisement
দেখতে খানিকটা রবীন্দ্রনাথের মত। পাকা চুল, লম্বা সাদা দাড়ি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার মুন্ডমারি এলাকার ৭৪ বছরের বৃদ্ধ সুভাষ মন্ডল। যুবক বয়স থেকেই পরিবেশ বাঁচানোর জন্য তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তবে ধীরে ধীরে সেই নেশা বাড়ে। এই বয়সে এসেও বাদ নেই সচেতনতার কাজে। লক্ষ্য মানুষের মধ্যে গাছ লাগানোর প্রবণতা বৃদ্ধি করা। মানুষ গাছ লাগালে পরিবেশ বাঁচবে, এই বার্তা দিতেই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে করেন সাংস্কৃতিক চর্চা। বয়সকালে আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মীয় নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তার ভাবনা পরিবেশ বাঁচানো।
পরিবেশ বাঁচানোর এবং গাছ লাগানোর বিষয় নিয়ে নানা গান ও লেখা লিখে মানুষের মধ্যে বিলি করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন চায়ের আড্ডা কিংবা জমায়েত স্থানে তিনি মানুষকে সচেতন করেন । বয়সের কারণে ছোট বয়সের সেই গান বাজনার চর্চা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে মানুষকে সচেতন করতে তিনি গান লেখেন ও তা পরিবেশনও করেন। এখন তিনি সাহিত্য চর্চা করেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার লেখা ছাপা হয়। সাহিত্য চর্চার পাশাপশি ধর্মীয় নানা আলোচনা সভায় মানুষকে পরিবেশ বাঁচানোর আবেদন জানান।
দিন দিন গাছ কেটে গড়ে উঠছে সভ্যতা। আধুনিকতার আড়ালে তার যৌবন হারাচ্ছে প্রকৃতি। যার কারণে বিপদের মুখে পড়ছে জীবকূল।তাই মানুষের মধ্যে এই বার্তা দিতে বৃদ্ধের এই উদ্যোগ। তার এই গানের মধ্য দিয়ে সচেতন করার ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
Ranjan Chanda