এদিন সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সভায় বায়রন আসেন৷ নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন অভিষেকের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দেন বায়রন৷ তাঁর হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷
একুশের বিধানসভা ভোটে সিপিআইএমের মতোই কংগ্রেসের হাতও ছিল শূন্য। তেইশে এসে শূন্য থেকে এক হয়েছিল কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জেতা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসন হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। যা নিয়ে একদিকে যেমন চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল৷ অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খানিকটা হলেও অক্সিজেন পেয়েছিল কংগ্রেস৷
advertisement
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছিল সাগরদিঘি আসনটিতে। তেইশের ২রা মার্চ সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কিন্তু এই জল্পনা ছিল৷ জয়ের পরে বায়রন জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের ভোট না পেলে তাঁর জেতা সম্ভব হত না৷
অন্যদিকে, বায়রন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরেও বায়রনের দলবদলের জল্পনার পালে হাওয়া লেগেছিল৷ সেই সময় বায়রনকে ‘তৃণমূলেরই লোক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বিমান৷
তবে সেই বিতর্কের সময়েও অধীর চোধুরীর গলায় ধরে পড়ছিল আত্মবিশ্বাস৷ বায়রনের দলবদলের জল্পনা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেছিলেন ‘বায়রন আমাদের আয়রন’৷
কিন্তু, অধীরের সেই বিশ্বাসকে একপাশে সরিয়ে দিয়েই এদিন তৃণমূলে এলেন বায়রন৷
এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসিয়ে বায়রন তৃণমূলে যোগ দিলেন৷ তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলাম আমি৷ এরপর তিনি সাগরদিঘি গিয়ে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত শ্রেণির মানুষের হয়ে কাজ করবেন৷ এই আশা রাখি৷’’
বায়রন বলেন, ‘‘আমার জয়ের পিছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না৷ আমি তৃণমূলের টিকিট চেয়েছিলাম৷ কোনও কারণে হয়নি৷ বিশ্বাসঘাতকতা করেছি বলে মনে হয়না৷’’