আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার বিভাগের জালে ধরা পড়ল জামতাড়া গ্যাংয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খগেন দান ও মিঠুন দান-সহ আট জন। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট সংলগ্ন আনন্দপুর কো-অপারেটিভের বাসিন্দা প্রাক্তন এলআইসি কর্মী মৃণাল কান্তি তিওয়ারি। ভুয়ো ফোন কলের ঘটনাটি ঘটে জুন মাসের ২৭ তারিখ।
ঘটনার নেপথ্যে জামতাড়া গ্যাং। মৃণাল বাবু বলেন, “ওই দিন ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করে কেওয়াইসি জমা দিতে বলে। একেবারে শেষদিন শেষ মুহুর্তে জমা না দিলে ফাইন হবে বলে ভয় দেখায়। তখন সব যাচাইয়ের নামে ওটিপি আসলে জানাতে বলে। বাধ্য হয়ে ফোনে ওদের কথা মতো দফায় দফায় ওটিপি জানিয়ে দিই। পরে দেখি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে চার লক্ষ টাকা গায়েব।”
advertisement
প্রতারণার শিকার হয়ে পরদিনই তিনি দুর্গাপুর থানার সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই গত পয়লা জুলাই থানায় ঘটনার মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গোটা ঘটনাটি জামতাড়া গ্যাং-এর অপরাধীরা সংগঠিত করেছে। পুলিশ ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া সব তথ্য মোতাবেক তদন্তে নেমে পড়ে।
আরও পড়ুন- মাছের ফাঁদে আটকে গেল ৬ ফুট লম্বা কেউটে! তারপর যা হল, দেখলে বিশ্বাস হবে না
তদন্তে উঠে আসে কুখ্যাত জামতারার প্রতারক গ্যাংয়ের নাম। যার মাস্টারমাইন্ড খগেন দান ও মিঠুন দান। তাদের দুজন-সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খগেন দান জামতাড়ার বাসিন্দা। পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড। ওই চার লক্ষ টাকা সে তার নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিল। এছাড়াও মিঠুন দান ধানবাদের বাসিন্দা। প্রতারণার টাকায় অভিযুক্তরা কিনেছিল আড়াই লক্ষ টাকার দুটি দামি মোবাইল ও প্রায় ৫৫ হাজার টাকার সোনা। তবে পুলিশের তৎপরতায় সেগুলি উদ্ধার হয়েছে। বাকি অর্থ উদ্ধারের চেষ্টাও শুরু করেছে পুলিশ।
ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, “প্রতারকরা প্রাক্তন এলআইসি এজেন্টকে টার্গেট করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এরা মুলত বয়স্ক অবসরপ্রাপ্তদের টার্গেট করছিল। কেওয়াইসির নামে ফোন করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করাই ছিল এদের কাজ।”