ডিআরআই ও আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার প্রথমে বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে দুপুর ৩ টে নাগাদ আপ শিয়ালদহ অমৃতসর এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে করণ মালিক নামে উত্তরপ্রদেশের মেরটের এক বাসিন্দাকে আটক করা হয়। তল্লাশিতে তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের একটি বিদেশি সোনার বাট উদ্ধার হয়।
advertisement
পরে আবার ১ নম্বর প্লাটফর্মেই সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ আপ হাওড়া নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে অমন নামে উত্তরপ্রদেশের মেরটের আরও এক বাসিন্দাকে আটক করা হয়। তল্লাশিতে তার কোমরে বাঁধা একটি কাপড়ের বেল্ট থেকে ২ টি সোনার বাট উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ২ কেজি।
এত পরিমানে বিদেশি সোনা কীভাবে তাদের কাছে এল, কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, তার সামগ্রিক তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স ( DRI) এর তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান রেল পুলিশ একটি যৌথ অভিযানে বর্ধমান স্টেশন থেকে তিন কেজি সোনা সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
শিয়ালদহ অমৃতসর এক্সপ্রেস এবং হাওড়া নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে বিপুল পরিমাণ ওই সোনা উদ্ধার হয় শনিবার। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, প্রথমে অমৃতসর এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে একজনকে ১ কেজি সোনা সহ গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে অন্যজনকে দু কেজি সোনা সহ গ্রেফতার হয়।
রেল পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃত ব্যক্তি তার কোমরে গামছাতে সোনার বাট লুকিয়ে পাচার করছিল। আরপিএফ জানিয়েছে, ধৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। উদ্ধার হওয়া সোনা এই দুষ্কৃতীরা দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি', মহিলার উদ্দেশ্যে হঠাৎ মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, 'অপারেশন সতর্ক’-এর অধীনে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI) কলকাতার সঙ্গে শনিবার যৌথ অভিযান চালায় বর্ধমান আরপিএফ।
আরও পড়ুন, 'জতুগৃহ' ট্য়াংরা, রাবারের কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে ১০টি ইঞ্জিন
প্রায় দু কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি সোনার বাট উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
